Spread the love

অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশন এর উদ্যোগে৫৫তম ব্যাংক জাতীয়করণ পালন

রাজকুমার দাস

স্বাধীন ভারতের প্রথম ও অন্যতম সফল আর্থিক সংস্কার ব্যাংক জাতীয়করণের 55তম বার্ষিকী পালন করলো অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডেরাশন,এই ৫৫বছরে সরকারি ব্যাংক দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এসেছে। সবুজ বিপ্লব, মৎস বিপ্লব, দুগ্ধ বিপ্লব দেশবাসী কে খাদ্য উৎপাদনে স্বাবলম্বী করেছে।
আজও সমান ভাবে সমস্ত সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত করে চলেছে।
দেশ আজ বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক বৈষম্যের জ্বালায় যখন জ্বলছে তখন সরকার নিয়ন্ত্রিত পুঁজির যোগান দিয়ে অবস্থা আয়ত্তের মধ্যে রেখে চলেছে। এই নিয়ন্ত্রণ যখন ই সরকারের হাত থেকে গিয়ে ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাবে অবস্থা ঘোরতর হয়ে যাবে।কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস জানান
গত 55 বছরে একটি সরকারি ব্যাংক ও লালবাতি জ্বলা ‘ত দূরের কথা বর্তমানে সব কটি সরকারি ব্যাংক লাভ করছে এবং সরকার কে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে। ২০০৮সালে সারা বিশ্ব ব্যাপী আর্থিক মন্দার সময় তাবড় তাবড় ব্যাংক যেমন লেহম্যান ব্রাদার্স, আমেরিকান ব্যাংক বা বর্তমান সময়ে যখন সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, সিগনেচার ব্যাংক ও ক্রেডিট সুইস ব্যাংক তাসের ঘরের মতো পড়ে গেলো তখন বিশ্বের কাছে ভারতীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা তাদের সকলের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর থেকেও বোধহয় আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি। যদি তাই হতো তাহলে ব্যাংক বিরাষ্ট্রীয়করনের কথা মন থেকে সরকার মুছে দিতেন। কারণ এটাই হলো পুঁজির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের সুফল অন্যথায় সংকটের সময় পুঁজি যদি নিয়ন্ত্রিত না থাকে তাহলে পুঁজিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলে লাভের আশায়।আর এইটা করার ই চেষ্টা চলছে।লাভজনক সংস্থা গুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে দিয়ে সেগুলোকে বাজার অর্থনীতির নিয়ন্ত্রকদের হাতে সঁপে দেওয়ার প্রচেষ্টার নাম ই হলো বিলগ্নিকরণ।
আমরা দেশের মধ্যেও Yes Bank, ICICI Bank, IL&FS বা DHFL কে সমস্যার মধ্যে পড়তে দেখেও শিক্ষা নিলাম না।DHFL ব্যাংক কিভাবে 2,60,000ফেক হাউজিং লোন একাউন্ট বান্দ্রা শাখা থেকে খুলে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে 1881কোটি টাকা subsidy হাতিয়ে নিয়েছে।
তাই শেয়ার বাজার কে বিদেশি লগ্নি পুঁজির দৌলতে উত্তরণ হতে দেখে উৎসাহিত না হয়ে দেশীয় ব্যবস্থা জোরদার করে ,রোজগার সৃজন করে, ব্যাংকের সংকোচন না প্রসার করে , রাষ্ট্রীয় সংস্থা গুলোকে চাঙ্গা করে যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান তৈরি করে , মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের না,144কোটি ভারত বাসীর মুখে হাসি ফুটিয়ে যে উন্নয়ন সেই প্রকৃত সবকা সাথ সবকা বিকাশের জন্য আজকের পূণ্য দিনে আমরা শপথ নিতে চাই যে সরকারি সংস্থা বাঁচাও দেশ বাচাও।
দেশের প্রথম 100জন ধনী ব্যক্তির প্রাচুর্যের ভারত বর্ষ নয় , 144 কোটি মানুষের সাধারণ ভাবে বেচেঁ থাকার ভারত বর্ষ চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *