Spread the love

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ছুটিতে ধোঁয়াশা, নির্দেশিকা জারির দাবী

জাহির আব্বাস:

করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে গত নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুরু হয়ে শেষের মুখে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষাও। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন ক্লাসের রেজাল্ট তৈরির প্রস্তুতি। এরই মাঝে বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ছুটি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । একটি শিক্ষাবর্ষের ছুটির যে নিয়ম রয়েছে তাতে জানা গেছে, এক বছরে একটি শিক্ষক,শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ১৪ টি ক্যাজুয়াল লিভ এবং ১৫ টি মেডিকেল লিভ পেতে পারেন। কিন্তু এই বছর যেহেতু মাত্র কয়েক মাস একটানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলেছে। তাই উক্ত ছুটি এই ক’ মাসের জন্য কতগুলি করে পাওয়া যেতে পারে এ ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তরের এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশিকা নেই। অথচ এবারের শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে চলল । ফলে ছুটি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম বিভ্রান্তি। পূর্ব বর্ধমানের জনৈক প্রধান শিক্ষক বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, এমন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন যারা এই ক মাসে দশ এর বেশি ছুটি নিয়েছেন, আবার কেউ একটি বা দুটি ছুটি নিয়েছেন। এ বিষয়ে কী করা উচিত, আমরা নিজেরাই এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশায়। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তরের কোনো নির্দেশিকা আসে কিনা।
অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রয়োজনে ছুটি নিতেই হয়, কিন্তু কেউ দশটি বা কেউ একটি ছুটি “ক্যাজুয়াল লিভ ” হিসাবে উপভোগ করবেন এই বৈষম্য চলতে পারে না। অবিলম্বে, শিক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করুক।
এদিকে বর্ধমান জেলা শিক্ষা দপ্তরের এক উচ্চ পদস্থ কর্তা জানান, এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তায় কথায় জানা গেছে, ছুটি কারো কোনো অধিকারের মধ্যে পড়ে না।এটি কতৃর্পক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষ।১২ মাসে যদি ১৪ টি ক্যাজুয়াল লিভ পাওয়া যায়, তাহলে বাকি খোলা ক মাসের হিসেব অনুযায়ী যে ছুটি হয়, সেটাই একজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *