Spread the love

শুভদীপ ঋজু মন্ডল বাঁকুড়া:– করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর বিদ্যালয়ের শিশুরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে পড়াশুনার সুযোগ পেল আজ । করোনা মহামারীতে বন্ধ ছিল বিদ্যালয়গুলো সরকারি নির্দেশে আজ থেকে আবার ছাত্রছাত্রীরা চার দেওয়ালের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে পড়াশোনার সুযোগ পেল রাজ্যে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে জঙ্গলমহলের বিদ্যালয়গুলোতে । গতকাল স্যানিটাইজার এর কাজ হয়েছে স্কুল গুলিতে ,আজ পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে বিদ্যালয়গুলোতে ।সারেঙ্গা ব্লকের নেতুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমরা হাজির হয়েছিলাম সেখানে বিদ্যালয় শুরুর আগে প্রার্থনা সভায় সংগীত জগতের তিন নক্ষত্র পতনের স্মরণে ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এরপর ছাত্র-ছাত্রীদের চন্দনের ফোটা খাতা, কলম ,মাস্ক ইত্যাদি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিয়ে অভিনন্দিত করা হয় এখানে উল্লেখ্য বিগত দিনের ন্যায় ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আজ বিদ্যালয়ের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এবারে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে প্রিয়াঙ্কা পন্ডা এবং উপপ্রধানমন্ত্রী শিল্পা পাহাড়ি এবারের মন্ত্রিসভায় মোট 14 জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা সারা বছর ধরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বিদ্যালয় ঠিকমত চলছে কিনা তা দেখভাল করবে। অভিভাবক বিশ্বজিৎ লোহার অভিভাবিকা তনুশ্রী পণ্ডা রা বলেন খুব ভালো হলো ছেলেগুলো বিদ্যালয় আসতে পারায়। সারাদিন বিদ্যালয়ের বাইরে থাকায় আজ দুবছর ধরে পড়াশোনা প্রায় শিকেয় উঠে ছিল বিশেষ করে আমাদের মত গ্রামে-গঞ্জে ছেলেমেয়েদের খুব অসুবিধা হচ্ছিল এবার তাদের পড়াশোনায় মন বসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বিশেষ উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির হার খুব ভালো ছিল । আজ প্রায় ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বরণ করা হয়েছে যা ওদের জীবনে একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।এই স্কুল খোলার বিষয়ে নেতুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল বাবু জানান দীর্ঘ প্রায় দু বছর পর বিদ্যালয় শুরু হলো ,ছাত্ৰ-ছাত্রীরা চার দেওয়ালের মধ্যে এসে পঠন পাঠন শুরু করলো ,আমরা খুব খুশী ,খুব ভালোলাগছে এই ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের আবার বিদ্যালয়ের আঙিনায় পেয়ে । শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে ছাত্ৰ ছাত্রীদের হাতে কিছু উপহার সামগ্রী ও মাস্ক তুলে দিলাম । কোভিড বিধি মেনে আজ বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। সাথে মিড ডে মিলে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। রান্না করতে আসা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বলেন দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর আবার আমরা ছোট ছোট শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। খুব ভালো লাগছে ওদের আনন্দ করে খাওয়া দেখে ওদের মুখে হাসি দেখে খুশি হয়েছি আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *