Spread the love

মৃত্যুঞ্জয় রায়,

মা দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। কলকাতা সহ সারা পশ্চিমবঙ্গে ছিল পুজোর আমেজ। সিঁদুর খেলা, ধুনুচি নাচ এবং চোখের জলে ঊমা-কে বিদায় জানিয়েছে মর্ত্যবাসী। কলকাতার ছোটো বড়ো অনেকগুলি পুজোকে নানান সম্মানে সম্মানিত করেছে শারদ সেরা শিরোপা। সাংবাদিক বৈঠক, ব্যানার শুট, পুজো প্যান্ডেল পরিক্রমা এই রকম বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে অবশেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছে ফ্রেন্ডস মিডিয়া এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট। পূর্ব ঘোষণা মতোই মোট ১৫ টি পুজো কমিটিকে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে পুরস্কৃত করেছে তারা। শারদ সেরা শিরোপার মূল লক্ষ্য হলো “শিল্পীর মান, শারদীয়ার শ্রেষ্ঠ সম্মান”। মহালয়ার দিন গরীব, দুঃস্থ ও পথশিশুদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিয়ে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে শারদ সেরা শিরোপা ২০২৩।

শারদ সেরা শিরোপা ‘২৩-এর বিজেতার তালিকাটি হলো – হরিদেবপুর বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব দুর্গাপূজা (সেরার সেরা প্রতিমা), টালা প্রত্যয় (সেরার সেরা মণ্ডপ), চোরবাগান সর্বজনীন (সেরার সেরা পুজো), কাশি বোস লেন (সেরা প্রতিমা), ত্রিকোণ পার্ক দুর্গাপূজা কমিটি (সেরা মণ্ডপ), বেলেঘাটা সর্বজনীন (সেরা পুজো), কাঁকুরগাছি যুবক বৃন্দ ( সেরা পরিবেশ বান্ধব পুজো), চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি (সেরা সৃজন মূলক পুজো), লালাবাগান নবাঙ্কুর (সেরা আলোকসজ্জা), হরিদেবপুর আদর্শ সমিতি (সেরা শিল্প শৈলি), কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট (সেরা কম বাজেটের পুজো), হাজরা পার্ক দুর্গাপূজা (সেরা উপস্থাপনা), গল্ফ গ্রীন সর্বজনীন দুর্গাপূজা ( সেরা ভাবধারার পুজো) এছাড়াও সেরা দক্ষিণ কলকাতার পুজোর তকমা পেয়েছে রাজডাঙ্গা দুর্গাপূজা এবং সেরা উত্তর কলকাতার পুজোর তকমা পেয়েছে দমদম তরুণ দল পূজা কমিটি।

এরপর ডিসেম্বর মাসে আরও একটি ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হবে, যার নাম হলো উল্লাস। যে সমস্ত পূজা গুলি সেরার সেরা হয়েছে এবং যে যে পুজো গুলি আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেককে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হবে, এবং এই ফ্যাশন শো এর মাধ্যমেই সবার সামনে সেরার সেরা পুজোগুলিকে পুরস্কার (নগদ অর্থ) প্রদান করা হবে। আর এরপরেই শুরু হবে সামনের বছর পুজোর প্রস্তুতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *