Spread the love

মাওবাদী তকমা নিয়ে ১২ বছর আত্মগোপন করে থাকা বীরভুমের যুবক ধৃত

সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- বামফ্রন্ট ও তৃনমূল সরকারের সন্ধিক্ষণে রাজ্য রাজনীতিতে মাওবাদী ক্রিয়াকলাপে জর্জরিত হয়ে উঠেছিল প্রশাসন সহ সাধারণ নাগরিক।মাওবাদী নেতা কিষেনজি হত্যার পর বাংলার বুকে একপ্রকার তাদের কার্যকলাপ থেমে যায়। অনেক মাওবাদী নেতা রাজ্য সরকারের ডাকে আত্মসমর্পণ করেন এবং সরকারি প্যাকেজ গ্রহণ করেন। তারমধ্যেও বেশকিছু মাওবাদী কর্মীদের নাম পুলিশের খাতায় থেকে যায়,বিভিন্ন ধরনের নাশকতা মূলক কাজ ও দেশদ্রোহিতার অভিযোগে।সেই রকম ১২ বছর ধরে ফেরার থাকার পর বাড়ি ফিরতেই পুলিশের জালে আটকে পড়ে মাওবাদী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকা এক যুবক।পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে,অভিযুক্তের নাম বাবলু সূত্রধর, বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত ঢেকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের পুকুরপাড়ায়। দীর্ঘ ১২ বছর ফেরার থাকার পর গত শনিবার
নিজের গ্রামেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠতেই রামপুরহাট এসডিপিও ধীমান মিত্র র নেতৃত্বে ময়ূরেশ্বর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং মাওবাদী যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। রবিবার ষাটপলসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধৃতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর রামপুরহাট আদালতে পাঠানো হয় বলে খবর। উল্লেখ্য দীর্ঘ ১২ বছর ফেরার থেকেও শেষ রক্ষা হলো না বীরভূমের অভিযুক্ত মাওবাদী যুবকের। জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে,তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা এবং এলাকায় সন্ত্রাস-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল সেই অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বীরভূম পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানায় ও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই তাকে খোঁজাখুঁজি করছিল।গ্রাম সূত্রে জানা যায়, বাম আমলে বাবলুর বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, তারপর থেকেই সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।ধৃতের স্ত্রী রুমিন সূত্রধরের বক্তব্য আগে মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকলেও, সে পথ ছেড়ে আসার জন্য বারবার চাপ দিতাম। সে আস্তে আস্তে সেই পথ পরিত্যাগও করেন।।রবিবার রামপুরহাট আদালতের বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *