Spread the love

ভাতারের বলগোনা বাজারে ভিক্ষা করছিল সন্তোষপুরের দুই নাবালক, বুধবার বারোটার সময় তাদের বাড়ি গিয়ে পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন ভাতার থানার ওসি। ওসির ভূমিকায় খুশি এলাকার মানুষ।

ভাতারের বলগোনা বাজারে বিশেষ কাজে গিয়েছিলেন ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রসেনজিৎ দত্ত।

এরপর তিনি দেখতে পান দুটি নাবালক ছেলে ভিক্ষা করছে।
তৎক্ষণাৎ তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই নাবালক দুটি কাছে গিয়ে তাদের নাম ঠিকানা পরিচয় জানেন এবং কেন তারা এই কাজ করছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
ওসি জানতে পারেন তাদের বাড়ি ভাতারের সন্তোষপুর গ্রামে তার বাবার নাম শেখ আশরোফ, তিনি বিশেষভাবে সক্ষম।
মা কাঁথা স্টিকার কাজ করেন, তাতে সংসার চলেনা।
তাই বাচ্চাগুলি স্কুল বন্ধ করে ভিক্ষা করছে।
তিনি তখনই মুদিখানা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম মালপত্র কিনে নিয়ে যান আশরোফের বাড়ি।
এরপর তার দুই ছেলে ইসমাইল শেখ ও আশরাফিল শেখকের সমস্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নেন।

তাদের সমস্ত খাতা পেন তিনি কিনে দেন।
সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি তার মা যাতে মাসে কিছু আয় করতে পারে সে কথাও তিনি ভেবেছেন।

ওই বাচ্চাদের মা চম্পা বিবি জানান, আমার স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম। সরকারিভাবে একটি ঘর দেয় আমাদেরকে এরপর সেই টাকায় ঘর না করতে পেয়ে কিছুটা জমি ছিল তা বিক্রি করে ঘরটা কোনরকম করি। তবে কোন মেরামত করতে পারিনি।
সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি ।
তাই লোক লজ্জার মাথা খেয়ে ছেলেগুলোকে ওই কাজে নামিয়েছি ।তবে বড়বাবু যে আশ্বাস দিয়ে গেলেন তাতে করে ওদেরকে আর ওই কাজে পাঠাবো না ওদের পড়াশোনা করাবো।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল সেলিম জানান, পুলিশ কেবলমাত্র তাদের থানার কাজে ব্যস্ত থাকেন ।কিন্তু তার বাইরেও যে পুলিশ কাজ করে? এই ভাতার থানার নতুন বড়বাবু প্রসেনজিৎ দত্তকে দেখে শিখলাম।
তিনি আজ যে দায়িত্ব নিলেন তা বলে বোঝানোর ভাষা নেই। আমরা যাব ভাতার বাসি হিসাবে চাইবো উনি সব সময় সুস্থ থাকুন, সাধারণের মানুষের পাশে থাকুক।

ভাতার থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *