Spread the love

প্রশ্নভূল মামলায় শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ 

মোল্লা জসিমউদ্দিন , 

প্রায় ৪ বছর টেটের প্রশ্নভুল মামলা কখনো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে। আবার কখনো দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও উঠে এই মামলা।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি চালায়।শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।তবে এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি  এই মামলার রায়দান ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই রায়ের উপর লক্ষ লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীরা চেয়ে রয়েছে।  গত ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে  ৬ টি প্রশ্ন ভুল মামলার শুনানি শেষ হলো এদিন । তবে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট । শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হল। প্রায় চার বছরের কাছাকাছি সময়কাল  ধরে চলা এই মামলার শুনানি শেষ হল শুক্রবার।গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেটে ৬ টি প্রশ্ন ভুল থাকা নিয়ে মামলা দায়ের করেন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী । এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ভুলের নম্বর পান কেবল মামলাকারী পরীক্ষার্থীরা । এই ঘটনায় ফের মামলা দায়ের করা হয় বাকি পরীক্ষার্থীদেরও ভুল প্রশ্নের নম্বর দেওয়া নিয়ে ।সেই মামলার শুনানি চলে এদিন।গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়  ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার শুনানিতে সবপক্ষের থেকে জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । আগামী ২০ জানুয়ারি মামলাকারী ও পর্ষদের বক্তব্য শোনা হবে। সেদিনই এই সংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।উল্লেখ্য , ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে ভুল ছিল, তা প্রকাশ্যে আসে ২০১৮ সালে। তারপরই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতে শুনানির পর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, -‘ ভুল প্রশ্নের জন্য ৬ নম্বর দিতে হবে’। সেই ৬ নম্বর বাড়ার পরেও অনেকের চাকরি হয়নি অভিযোগ উঠেছিল।এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এমনকী মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। এক চাকরিপ্রার্থী  মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি হবে। এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা ওই ডিভিশন বেঞ্চেই শোনা হবে।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। পর্ষদের অবস্থান , -‘ ভুল প্রশ্নে সবাইকে নম্বর দেওয়া যাবে না’। এর পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে আর কোনও জটিলতা চায় না পর্ষদ।এদিন শুনানি শেষে সবপক্ষের জবাব চেয়ে পাঠায় আদালত। আগামী ২০ জানুয়ারি ফের মামলার শুনানি হবে। “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের  জন্য ২০১৪ সাল খারাপ একটি বছর ছিল”, শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার  । ৬টি প্রশ্ন ভুলের মামলার শুনানির সময় এদিন তিনি এই মন্তব্য করেন । যদিও মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ । চার বছর পর মামলার শুনানি শেষ হয় এদিন ।গত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার জন্য সেই প্রশ্নগুলির নম্বর সকল পরীক্ষার্থী পাবেন কি না?  তা এই মামলার রায়ে স্পষ্ট হয়ে যাবে  । এখনও পর্যন্ত মামলাকারীরাই ৬টি প্রশ্ন ভুলে নম্বর পেয়েছেন । তারপরই একাধিক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন হাইকোর্টে ।২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ২৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী । তার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজারের মত প্রার্থী উত্তীর্ণ হন । সেখান থেকে প্রায় ৪২ হাজার প্রার্থী চাকরিতে নিযুক্ত হন ।তবে  ২০১৪ সালের পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেন প্রতিভা মণ্ডল-সহ আরও কয়েকজন ।মামলার রায়ে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, -‘ মামলাকারীদের মধ্যে ওই ৬টি ভুল প্রশ্নে যারা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের সকলকেই নম্বর দিতে হবে । তবে যারা হাইকোর্টে মামলা করেছেন নম্বর পাবেন শুধু তাঁরাই’ ।এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অক্টোবর ২০১৮ সালেতে রায়ের পর প্রতিভা মণ্ডল-সহ মামলাকারীরাই এই ৬টি ভুল প্রশ্নে নম্বর পান । এরফলে বেশ কিছুটা নম্বর বেড়ে যাওয়ায় চাকরি পেয়ে যান তাঁরা । এরপরই ৬ টি প্রশ্ন ভুলের নম্বর সব পরীক্ষার্থীদেরই পাওয়া উচিত বলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । সেই মামলারই শুনানি হল এদিন । তবে তার রায়দান স্থগিত রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ  ।আগামী ২০ জানুয়ারি বহু চর্চিত এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *