Spread the love

কলকাতায় গণপ্রজাতন্ত্রী চিন এর কনস্যুলেট-জেনারেল এবং স্থানীয় চীনা সম্প্রদায়ের সঙ্গে ড্রাগন বোট উৎসবের আয়োজন ২০২২….।

গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ৬ জুন ২০২২। রবিবার ৫ ই জুনের সন্ধ্যা কার্যত ছিল আনন্দময় আর পড়ন্ত বিকেলের গোধূলি মেঘ তখন পূর্ব কলকাতার আকাশ ছেয়ে। ভিতরে কলকাতা বোটিং এবং হোটেল রিসর্ট, ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল ২০২২ কনস্যুলেট এর উদ্যোগে প্রকৃত অর্থেই ছিল জমকালো, ঝাঁ চকচকে ভাবে অনুষ্ঠিত হলো। আয়োজনে কলকাতায় গণপ্রজাতন্ত্রী চিন কনসাল জেনারেল (পিআরসি) এবং বিভিন্ন স্থানীয় চিনা সম্প্রদায় “ইন্ডিয়া চায়না কালচারাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন” সহ সংস্থাগুলি। কে না হাজির হয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে! কলকাতায় পিআরসির কনসাল জেনারেল শ্রী ঝা লিউ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্যোগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জনাব জাভেদ আহমেদ খান, রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী সুখেন্দু শেখর রায়, জনাব নাদিমুল হক, প্রাক্তন সাংসদ ও সি পি এম পার্টির নেতা মহম্মদ সেলিম, ললিত কলা একাডেমির কল্যাণ কুমার চক্রবর্তী, ভারতের কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের প্রাক্তন সচিব শ্রী অনিন্দ্য মজুমদার, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন উপ-মুখ্য সচিব রাজপাল সিং কাহলন, পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রীমতী মারিয়া ফার্নান্দেজ, এছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন পড়শি দেশের কূটনীতিকরা। কলকাতায় থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভুটানের কনস্যুলেট-জেনারেল, অল ইন্ডিয়া ওভারসিজের প্রেসিডেন্ট চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন চেন ইয়াওহুয়া এবং চিনা সম্প্রদায় ও সেদেশের প্রতিনিধিরা মিডিয়ার বন্ধুরা তো বটেই, তাছাড়াও কলকাতার চিনা কনস্যুলেট-জেনারেলের সমস্ত কর্মী এবং অবশ্যই স্থানীয় বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে প্রায় হাজারের উপর মানুষের উপস্থিতি।
চিনা রাষ্ট্রদূত শ্রী ঝা লিউ এর কথায়, “এখন আমরা যখন সবাই মিলিত হয়ে কথা বলছি তখন বিশ্বে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
যা আগের চেয়ে আরও কঠিন। আমাদের বিশ্ব সম্প্রদায় আরও গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সব দেশ জাতিকেই এখন এগিয়ে আসতে হবে একসাথে,
অভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবং যৌথভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার এটাই উপযুক্ত সময়। এর জন্য আমাদের কেবল অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তি একত্রিত করলেই চলবে না বরং সস্কৃতি এবং সভ্যতার মেলবন্ধনের যে শক্তি তাকেও কাজে লাগাতে হবে। চিন ও ভারত, এই দুটি সর্বাধিক জনবহুল প্রাচীন সভ্যতা হিসাবে, আমাদেরই একাজে নেতৃত্ব দিতে হবে।”
রাষ্ট্রদূতের কথায়, “চিন ও ভারত একে অপরের জন্য হুমকি নয়, বিদ্বেষ নয় বরং একে অপরকে পাশে নিয়ে উন্নয়নের পথে যাতে হাঁটতে পারে সেটাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শীর্ষ চিনাদের বৃত্তি বিতরণের পর শুরু হয় জমকালো সিংহ নাচ এবং বিশেষ নাট্য প্রদর্শন। এক কথায় আদ্যোপান্ত রঙিন উপস্থাপনা। কনসাল জেনারেল ঝা লিউয়ের সহধর্মিণী জেং হুইকুন এর ডাকে সাড়া দিয়ে স্থানীয় বন্ধুরা, মহিলা নেত্রী, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিনা ভবনের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কূটনীতিক এবং কনস্যুলেট-জেনারেলের পরিবারের সদস্যরা গাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, “আলো আমার আলো” এবং চিনা গান “ড্রাগনের বংশধর”। সব যেন মিলেমিশে এক হয়ে গেল ওই আনন্দসন্ধ্যায়! একটা বড়ো সংখ্যক জনতার উল্লাস আর উৎসাহ ছিল নজরকাড়া।
চিনা এবং ভারতীয় শিল্পীদের উপস্থাপনার মাঝেই চলতে থাকে ফ্ল্যাশের ঝলকানি। পরিশেষে খাঁটি চাইনিজ খাবার, কথায় বলে না ! যার শেষ ভালো তো সব ভালো। করোনা অতিমারী কালীন সময় অতিবাহিত করে বহুদিনপর সকলে একসাথে মিলিত হতে পেরে সকলেই খুশি। অনুষ্ঠান শেষে সকলের মুখে দেখা গেল খুশির ঝলক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *