Spread the love

অসহায়দের পাশে নদীয়ার সমাজকর্মী

নীহারিকা মুখার্জ্জী, নদীয়া,


যেকোনো বাঙালি নারীর কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বা প্রিয় জিনিস হলো গহনা ও শাড়ি। সেটা যদি আবার একমাত্র সন্তান সুমনের প্রথম উপার্জনের অর্থে কেনার সুযোগ হয় তাহলে সেটা আলাদা তাৎপর্য এনে দেয়। আবার সন্তানের জননী যদি হন কাঁচরাপাড়ার ছোটো আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সোনালী পাল তাহলে অন্য কিছু আশা করা যেতেই পারে। ঠিক সেটাই হলো।

ছেলের উপার্জনের অর্থ ও স্বামী স্বরাজের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সোনালী দেবী কিনে ফেললেন নতুন শাড়ি। সঙ্গে নিজের ব্যবহার না করা নতুন শাড়ি সহ মোট পঁচিশটি শাড়ি নিয়ে গত ৫  ই মার্চ পৌঁছে গেলেন এলাকার একটি ইঁটভাটায়। 

এই ভাটায় যেসব মহিলারা কাজ করে তারা কার্যত পরিযায়ী। তাদের জীবন অত্যন্ত কঠিন এবং কষ্টদায়ক। শিক্ষার আলো এদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে বোঝেই না। একাধিক সন্তানের জননী এই সব মহিলা শ্রমিকরা সেভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পায়না। দু'বেলা দু'মুঠো খাবার জোটাতে যেখানে তারা হিমশিম খেয়ে যায় সেখানে নতুন শাড়ি কেনা তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন। 

এইরকম পঁচিশ জন অসহায় মহিলার হাতে নতুন শাড়ি তুলে দিলেন সোনালী দেবী। একইসঙ্গে ঐসব অসহায় মহিলার মুখে ফুটিয়ে তুললেন হাসি।

সহযোগিতার জন্য ইটভাটা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোনালী দেবী বললেন – পুত্রের উপার্জনের অর্থে নতুন শাড়ি কেনার সুযোগ পাব। কিন্তু আজ যে আনন্দ পেলাম নতুন শাড়ি বা গহনা সেই আনন্দ দিতনা। আমার সন্তানের জন্য আমি গর্বিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *