Spread the love

সুন্দরবন মহাবিদ্যাল ন্যাকের মূল্যায়নে এ গ্রেড পেয়েছে

ফারুক আহমেদ

একদা কোভিড পিরিয়ডে আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের (লেকচার সিরিজ) আয়োজন করে বিশিষ্টদের নজরে পড়েছিল সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়। সম্প্রতি, ন্যাকের (NAAC) মূল্যায়নে প্রত্যন্ত গ্রামের এই কলেজটি “A” গ্রেড পেয়ে আবারো চমকে দিয়েছে শিক্ষা মহলে। পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন যা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত। সেই পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের সদর হল কাকদ্বীপ। এই কাকদ্বীপেই অবস্থিত ‘সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়’। এখানকার ফার্স্ট জেনারেশন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা প্রায় আশি শতাংশ কৃষক, বিড়ি শ্রমিক, মৎসজীবী। তবুও তাঁরা সন্তান-সন্ততিদের ‘নিশ্চিন্ত প্রথায়’ সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। কলেজের এই সাফল্যের পিছনে সম্মিলিত প্রয়াসের কথা শোনা যায় অধ্যক্ষ ড. শুভঙ্কর চক্রবর্তীর মুখে। তাঁর কথায়, প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও পরিচালন সমিতির নিরলস প্রয়াসে এটি সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ-ছ’বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। সিনিয়র টু জুনিয়র প্রত্যেকেই সাধ্য ও সাধনা দিয়েছেন। কলেজের প্রেসিডেন্ট মাননীয় মন্টুরাম পাখিরার উৎসাহে, প্রিন্সিপাল স্যারের পরিচালনায় ও ‘আই কিউ এ সি'( IQAC) কোঅর্ডিনেটর ড. অরিন্দম ঘোষ হাজরার নেতৃত্বে সবাই কায়মনোবাক্যে কাজ করেছেন, যার ফলে আমরা, আমাদের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয় “A” গ্রেড পেয়েছে। আমরা খুশি।’ এই ‘খুশি’ তাঁরা আমফান-বিধ্বস্ত ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবক এবং শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *