Spread the love

সালানপুর এলাকায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বলি কারবার ঝাড়খন্ড এর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচার করে আনা হচ্ছে এই বালি

কাজল মিত্র : কেউ কি কখনো ভেবেছিল যে সোনার দামেও বালি বিক্রি করা যায়। অবৈধ বালি চোরাচালানের বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের পর, আজকাল সালানপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানের অন্যান্য এলাকায় সোনার দামে বালি বিক্রি হচ্ছে। নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েগেছে ,যদি আপনি ৫০ হাজার টাকা দিতে প্রস্তুত হন,তাহলে আপনি একটি হাইবা ভর্তি বালি পেয়ে যাবেন।কিন্তু কে সেই ব্যক্তি যে এই কঠিন সময়ে সোনার দামে বালি বিক্রি করছেন। চুরি হওয়া বালির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কড়াকড়ি ভাবে কঠোর হওয়ার পর,বালি মাফিয়া আজকাল এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, যদিও এলাকার কোনো নদীর ঘাট থেকে বালি উঠছে না, তাই ঝাড়খণ্ড ধানবাদের সিজুয়া এলাকা থেকে সালানপুর থানা এলাকায় এই বালি পাচার কারোবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর এই বালি ধনবাদ জেলা থেকে রয়্যালটি দিয়ে কেনা হচ্ছে, এবং চালানের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডের মাইথন বা মিহিজামে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া নিজের মজবুত শক্তি
এবং নাগাল ব্যবহার করে, বালু চোরাচালানীরা কল্যাণেশ্বরী ও দেন্দুয়ার কারখানায় নির্বিচারে প্রতি হেক্টর ৫০ হাজার বালি সরবরাহ করছে। যার কারণে রাজ্য সরকার প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ রাজস্ব হারাচ্ছে।

ডিবুডিহ চেকপোস্টে কুল্টি ট্রাফিক কর্মীরা যখন সম্প্রতি একটি বালি বোঝাই হাইওয়ে চেক করার জন্য থামালেন, তখন চালকরা বলেন যে তাদের বৈধ চালান ছিল এবং ডাম্পারটি লোড ছিল। তবে তদন্তের পর ডাম্পারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। যদি সূত্রে বিশ্বাস করা হয়, সালানপুর থানার ‘পবন’ নামে এক যুবককে বলা হয় বালি চোরাচালানের মাফিয়া , যিনি বালির কালো টাকা থেকে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন।এও খবর রয়েছে যে পবন শিল্পপতিদের কাছে বৈধ বালির নামকরে অবৈধভাবে বালি বিক্রি করে।যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এমন পরিস্থিতিতে, প্রশ্ন উঠছে যে যদি বালি বৈধ হয় তবে কেন বালি বোঝাই ডাম্পার গুলি ডুবুডিহ সীমান্তে রাত ২ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়, শুধু তাই নয় রাত ১২ টা থেকে দেন্দুয়া মোড় থেকে ডুবুডিহি চেকপোস্ট পর্যন্ত একটি ছোট গাড়ি রেইকি (টহলদারি) করতে থাকে।বলা হয়ে থাকে যে, নাকরাজোড়িয়াতে অবস্থিত আসানসোল অ্যালয়ের কাছে বালি চোরাচালানকারী একটি গ্যাং স্টক ইয়ার্ড তৈরি করেছে, যা আজ পর্যন্ত পুলিশ আন্দাজ পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *