Spread the love

সমীর দাস,

ইচ্ছে হয় হারিয়ে যেতে
স্মৃতি-মাখা সেই দিনের মাঝে
পিতৃ নামের বৃক্ষ তলে
লালিত হয়েছি তোমার কোলে
ছোট্ট বেলার বিকেল বেলা
বাবার সাথে বেড়াতে যাওয়া
কত আবদার বায়না ধরা
বাবার কাছে আদায় করা
কখনো চারানা কখনো আট-আনা
পেলেই ছুটে, কিছু কিনে আনা
কখনো ঘোড়া , কখনো হাতি
বাবাই ছিল খেলার সাথী
বাবার কাছে পড়তে বসা
পড়া পারলে বেজায় ভালো
না পারলে দুই -চার ঘা
কান্না জুড়ে দিতাম আমি
কাছে টেনে মানাতে তুমি
পরীক্ষার দিনগুলোতে
সঙ্গী হতে রাত জাগাতে
অসুখ হলেই আদর স্নেহ
নিয়ে আসতে পথ্যি যত
স্কুল কলেজ -এর সীমানা ছেড়ে
জীবন যুদ্ধের দন্ড -গড়ে
এসেছি তোমার হাত ধরে .

জীবন যুদ্ধে এগিয়েছি যত
তবু , হতে পারিনি তোমার মতো
আজ বাবা আমার কত দূরে
তবু, রবে চিরকাল বক্ষ জুড়ে ,
পিতৃ -দিবসের পুণ্য লগনে নিবেদি প্রণাম তব চরণে

মাতৃ দিবস নিয়ে যতটা উন্মাদনা দেখা যায় সেই তুলনায় পিতৃ দিবস নিয়ে উন্মাদনা নেই বললেই চলে।

ভারতসহ পৃথিবীর সাত টা দেশ জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পিতৃ দিবস পালন করা হয়।

বাবা মানে একটু শাসন, অনেক ভালোবাসা। বাবা মানে একটু কঠিন, মাথার ওপর ছায়া। বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ, আর একরাশ নিরাপত্তা।
হ্যাঁ, বাবারা এমনি হন। রাগ, শাসন আর রাশভারী চেহারার পেছনে এ মানুষটির যে কোমল হৃদয় তা মাতৃ হৃদয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
একজন বাবার শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ হচ্ছে তার সন্তান। বাবার প্রতি সব সন্তানের মনে থাকে গভীর শ্রদ্ধা ও আবেগ। কিন্তু পরিবারের পরিবেশগত কারণে ক্ষেত্রবিশেষ এই শ্রদ্ধা কখনো পায় না পূর্ণ মর্যাদা।
বাবা আমাদের যতটুকু শাসন করেন তার চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসেন। মাঝে মধ্যে বাবার শাসনে আমরা বিরক্ত হই ঠিকই, কিন্তু চোখ বন্ধ করে শুধু এক মুহূর্তের জন্য ভাবুন মাথার ওপর বাবা নামের ছায়াটি আর নেই! দেখবেন মাথার দূরের ওই আকাশকে মনে হবে ওটা আপনার মাথার ওপরেই রয়েছে।
আজ ১৯ জুন ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। যদিও বাবাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো বিশেষ সময়ের প্রয়োজন হয় না, তবুও আজ বাবা দিবসে বিশ্বের সব বাবার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল- এটি বোঝানোর জন্যই বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয়। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। রুদ্রা র সর্বভারতীয় আইনজীবী কৌশিক ভট্টাচার্যের মতে তীব্র পুরুষ বিদ্বেষী আইন ও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী নীতি লক্ষ লক্ষ পুরুষের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। ভয়াবহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারী, ছাঁটাই, সব সরকারী প্রকল্পে চরম দুর্নীতি, ব্যাঙ্ক লুঠ, ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে সুদের হার তলানিতে ঠেকেছে। যার সুনামী গিয়ে পড়ছে পুরুষের ওপর। কারন সংসার চালায় পুরুষ।

যদিও আগের দিনে বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক ছিল খানিকটা দূরত্ব, খানিকটা সঙ্কোচ ও খানিকটা ভীতি মেশানো শ্রদ্ধা। তবে সেই অবস্থা এখন আর নেই বললেই চলে। এখনকার সময়ে অনেক বাবাই সন্তানদের বন্ধুর মতো, একদম কাছের মানুষ। স্নেহশীল। কর্তব্যপরায়ণ।
ডাক যাই হোক না কেন, রক্তের সম্পর্ক বদলায় না। বদলায় না এই ডাকের আবেগও। এই ডাকের মধ্যেই জড়িয়ে থাকে পৃথিবীর সব আবেগ ও ভালোবাসা।
আসুন এই ‘বাবা দিবসে’ আমারা সবাই বাবাকে বলি, ‘বাবা, খুব ভালোবাসি তোমাকে, যেভাবে পাশে আছো সেভাবেই থেকো চিরদিন’।
আর যার বাবা বেঁচে নেই তারাও একবার হলেও ভাবুন বাবাকে। বাবার প্রতি এত ভালোবাসা কিভাবে প্রদর্শন করব? কাকে সেই প্রিয় ‘বাবা’ বলে ডাকবে? অগণিত ভাগ্যবিড়ম্বিতের এ আক্ষেপ অন্তরের, এই জ্বালা চিরকালের।
জীবন চিরায়ত বহমান। সব হারানো কিংবা শোক-তাপের ঊর্ধ্বেও জীবন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এ সত্যটাই চিরন্তন। ভালোবাসার বহতার কথা বলেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি তার বাবার শেষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রার্থনায় বলেছিলেন, ‘বাবা আলোকের ন্যায়, সমীরণের ন্যায়, তাহা শিশুকাল হইতে আমাদিগকে নিয়ত রা করিয়াছে, কিন্তু তাহার মূল্য কেহ কখনো চাহে নাই!’
আসলে পুরুষ মানুষ মানেই সেও একজন বাবা ও একজন স্বামী। সেই বাবা অথবা পুরুষটি দিনের শেষে বাসে ট্রেন এর মধ্যে ধাক্কা খেতে খেতে বাড়ী ফেরেন শুধু মাত্র সংসারের তাগিদে। হাজার টাকা রোজগারের পরে ও কৃপনতা তাকে ছাড়েনা। রাস্তায় একটা বিপদে পড়লে বাবারাই সবার আগে এগিয়ে আসে। বাসের মধ্যে একজন মেয়েকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখলে মনের মধ্যে অসহায়ত্ব কাজ করে, কারণ তার ও এক কন্যা সন্তান আছে। তবুও কিছু ক্ষেত্রে বাবাদের ভিসিটর হিসেবে গণ্য করা হয় শুধু মাত্র তার নিজের সন্তানের সাথে দেখা করার জন্য। একা বাবা হিসেবে কোনও পুরুষ কন্যাসন্তান দত্তক নিতে পারেন না। কোনও মহিলার গায়ে দুর্ঘটনা জনিত কারণে ধাক্কা লেগে গেলেও সর্বসমক্ষে চড় খেতে হয়। কোনও মহিলা শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুললে কিংবা কু-ইঙ্গিতের অভিযোগ তুললেই পুরুষ কাঠগড়ায়। কেউ তলিয়ে মূল ঘটনা যাচাই করবে না। কোনো সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা তে পুরুষদের সিট্ পরে দূর – দিগন্তে। কারণ একটাই বাবাদের জন্য অথবা পুরুষদের জন্য নিদৃষ্ট কোনো আইন নেই। রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। রুদ্রার সর্বভারতীয় আইনজীবী কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন “তীব্র পুরুষ বিদ্বেষী আইন ও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী নীতি লক্ষ লক্ষ পুরুষের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। ভয়াবহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারী, ছাঁটাই, সব সরকারী প্রকল্পে চরম দুর্নীতি, ব্যাঙ্ক লুঠ, ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে সুদের হার তলানিতে ঠেকেছে। যার সুনামী গিয়ে পড়ছে পুরুষের ওপর। কারন সংসার চালায় পুরুষ”। আইনজীবী রিত ব্যানার্জির মতে “সমস্যা কিন্তু খুব গুরুতর।
আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবসে জেনে রাখুন বাবাদের কোন অধিকার নেই। আদালতের নির্দেশে একটি বাবাকে (যাদের কোর্ট কেস চলছে) তার সন্তানকে দেখতে পায়। চরম পুরুষবিরোধী বিরোধী আইন।
এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন সবাই একসাথে আপনাদের আশেপাশের লোককে জানান। ঘরে বসে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ কিন্তু আইন বদলাবে না। কঠোর থেকে কঠোরতম আইনি লড়াই লড়তে হবে। যে কোনো মুহূর্তে আপনার সন্তান ও পড়তে পারে এই ফাঁদে”।

আজ রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পিতৃদিবস পালন করল। রুদ্রা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে খান্না সিনেমা মোড় অবধি যে পদযাত্রার আয়োজন করেছিল সেই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বনামধন্য মহিলা ও পুরুষ রা, কিন্তু মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রুদ্রার জোর অনেকটা বাড়িয়ে দিয়ে গেলো। পদযাত্রা শেষে বিশিষ্ট সদস্যা অনামিকা দত্ত ও Dr মঞ্জু মুখার্জি, রুদ্রার সর্বভারতীয় আইনজীবী যথাক্রমে কৌশিক ভট্টাচার্য ও রিত ব্যানার্জি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আইনজীবী রুদ্রা জাতীয় কো-অর্ডিনেটর সমীর দাস, রুদ্রার পৃষ্টপোষক তপন দা এবং হুগলি জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ সেনগুপ্ত খুব সুন্দর বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন।
এই দুঃসহ গরমের মধ্যেও ১৫০ মহিলা এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে, অংশগ্রহণকারী মহিলাদের একটাই দাবি সরকার জানো লিঙ্গনিরপেক্ষ আইন এবং পুরুষ কমিশনার গঠিত হোক। অনুষ্ঠান শেষে সর্ব ভারতীয় সভাপতি পার্থ সারথি চক্রবর্তী এবং সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি অরিন্দম ভদ্র সকল কে তথা যারা অংশগ্রহণ করলেন ও কলকাতা পুলিশ কে যাদের সহযোগিতা ছাড়া পদযাত্রা সম্ভব হতো না – তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *