Spread the love

সাধন মন্ডল,

রাইপুরের রূপকার সমাজসেবী শিক্ষক স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র বিশ্বাসের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো আজ রায়পুরের থানা গোড়ায়।আবরণ উন্মোচন করেন সারেঙ্গা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ তদবোধানন্দ জি মহারাজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু , অধ্যাপিকা অঞ্জনা মাহাতো জাতীয় শিক্ষক ও রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জগবন্ধু মাহাত, সভাপতি শক্তি কুমার বিশ্বাস , ডাঃ অরুণ ভট্টাচার্য, ডাঃ সাধুচরণ মন্ডল ডাঃ শ্যামল দে শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষক পরীক্ষিত মাহাতো সহ বিশিষ্ট মানুষজন ।এছাড়া তৎকালীন দিনে রমেশ বাবুর সহকর্মী ও গুরুভাই অনিমেষ ভট্টাচার্য, সুবোধ মহান্তি ,তুলসী মন্ডল ধরমদাস মান্ডি ,রায়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলেখা মাহাতো ,রায়পুর ব্লক এলাকার পঞ্চায়েত গুলির প্রধানগণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব দুলে, সমাজসেবী গণেশ মাহাতো, রায়পুর ব্লকের যুব সভাপতি গন, বিশিষ্ট সমাজসেবী অদ্বৈত লাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী তারাশঙ্কর মহাপাত্র বেশ কয়েকজন মানুষ আজকের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে রমেশ বাবুর সমসাময়িক ব্যক্তিরা তার স্মৃতিচারণা করেন ।উল্লেখ্য একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে স্মরণিকা উদ্বোধন করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বিশেষভাবে উল্লেখ থাকে যে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম ন নম্বর রাজ্য সড়কে কংসাবতী নদীর উপর রায়পুরে গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ সেতু নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস তিনি তৎকালীন দিনে শপথ নিয়েছিলেন যতদিন পর্যন্ত না সেতু নির্মাণ হবে রায়পুরে ততদিন তিনি চুল দাড়ি কাটবেন না পরবর্তী দিনে 1976 সালে আজকের দিনে অর্থাৎ 26 শে জুন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় রায়পুরে গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ নামে সেতুটির উদ্বোধন করে মঞ্চে রমেশবাবু কে পাশে বসিয়ে বলেন আমি আমার কথা রেখেছি আপনি আপনার পন থেকে বিরত হন এবং চুল দাড়ি কাটুন এবং তার পরেই তিনি চুল দাড়ি কাটেন। রমেশ বাবুর আবক্ষ মূর্তি তে মাল্যদান করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও বিশিষ্ট মানুষজন এবং তার সহধর্মিণী বেলা বিশ্বাস ও তার পরিবারের সমস্ত সদস্য সদস্যা বৃন্দ। বাবুর ছোট ছেলে শঙ্কুরাজ বিশ্বাস তার বাবার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অনেক অজানা কথা তুলে ধরেন এবং আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অন্যদিকে রমেশ বাবুর বড় ছেলে গৌতম বিশ্বাস বলেন অনেকদিন পরে হলেও রায়পুরের মানুষ আমার বাবাকে স্মরণ করে তার আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করল এইজন্য রায়পুরবাসীর কাছে ,স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস স্মৃতিরক্ষা কমিটির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ । বাবার দেখানো পথেই তার সমাজসেবার ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে আমরা সদা সর্বদা সচেষ্ট ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক রাধামাধব মুখার্জি ও বিশ্বজিৎ ঘোষাল উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী বন্দনা জানা ও অমিত জানা। এদিনের অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে দর্শকদের মন জয় করেন জাতীয় শিক্ষক তথা রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস স্মৃতিরক্ষা কমিটির সম্পাদক জগবন্ধু মাহাতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *