Spread the love

ভারতীয় দর্শনের পান্ডুলিপির প্রদর্শনী কলকাতায়

ভারতীয় দর্শন শাস্ত্র ও গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রামাণ্য পুঁথি পান্ডুলিপি ও গ্রন্থ সমূহের সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার মনোহরপুকুর রোডে গীতা ভবনে তৈরি হয় ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির এক ছাত্র ফার্দিনান্দো সরর্দেল্লা। ফার্দিনান্দো তাঁর গবেষণার জন্য পান্ডুলিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের খোঁজে ভারতে এসেছিলেন। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহান দার্শনিক ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী বা শ্রীল প্রভুপাদের সেক্রেটারি সুন্দরানন্দ বিদ্যাবিনোদের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে‌ প্রায় তিন হাজার পুস্তক ও পান্ডুলিপি ছিল।এই সব রত্নরাজি তিনি নিজের সংগ্রহে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে ছিল ১৮৫০ থেকে ১৯৪০ এর দশকের বাংলা, ইংরেজি সংস্কৃত ও হিন্দি ভাষায় রচিত বহু দুষ্প্রাপ্য পুস্তক ও পান্ডুলিপি । তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার আগে সংগৃহীত সব গ্রন্থ ও পান্ডুলিপি সমূহের সংরক্ষণের জন্য তাঁর অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু ডেনিস হ্যারিশনের সহযোগিতায় ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির দুষ্প্রাপ্য পুস্তকগুলির সংরক্ষণের কাজ দিয়ে শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কলকাতা ছাড়াও মুম্বাই, পুণে ও পুরীতে তাদের শাখা বিস্তারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গচ্ছিত ও নষ্ট হতে থাকা পান্ডুলিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থগুলি সংরক্ষণ এবং ডিজিটাইজেশনের কাজ করে চলেছে। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের এইসব কর্মকাণ্ড এবার প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হল কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ইসকন আয়োজিত রথযাত্রা মেলায়। সেখানে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ এই প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলরাম লীলা দাস বলেন,ভারতের এই সব দুর্মূল্য পুস্তক ও পান্ডুলিপি ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। সারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা, দেশের গৌরব, এমনই এক কোটিরও বেশি পান্ডুলিপি নষ্ট হতে বসেছে। এই সম্পদ সংরক্ষণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *