Spread the love

বেআইনী নির্মাণে ‘কার্যকরী পদক্ষেপ’ নিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের 

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু
‘শুধু অর্ডার দিলেই হবেনা,  তা কার্যকর করতে মাঠে নামতে হবে’। ঠিক এইভাবেই রাজ্য প্রশাসন কে তোপ দাগলো কলকাতা হাইকোর্ট।শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল ও বিচারপতি রাজষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বেআইনী নির্মাণ নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কে এইভাবেই তোপ দাগে হাইকোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার এলাকার মথুরাপুরের এক খাল বুজিয়ে বেআইনী নির্মাণ সংক্রান্ত মামলা ছিল এদিন। অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মাথুরাপুরে খালের উপর গড়ে উঠেছে পার্টি অফিস, সরকারি অফিস। যার জন্য নয়টি মৌজার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়ছেন । বর্ষায় স্কুলে-হাসপাতালে জল ঢুকে পড়ছে,তাতে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে এলাকাবাসীর । বেআইনি নির্মাণের জন্যই যে এই অবস্থা তা মেনে নিয়েছে স্থানীয়  প্রশাসন। এরপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে । দীর্ঘ দিন বলেও সুরাহা হয়নি। তএরপর আদালতে জনস্বার্থ মামলা দাখিল  হয়। এই মামলার শুনানিতেই এদিন প্রশাসনকে আদালতের তীব্র তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।আজ কলকাতা হাইকোর্টের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায় -‘ খালের উপর বেআইনি নির্মাণের ফলে সমস্যায় গ্রামবাসীরা। জেলাশাসক কি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকবেন! শুধু পলিসি করলেই কি হয়ে যাবে? ‘এদিন সমস্যা সমাধানে জেলাশাসককে রাস্তায় নেমে পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা  হাইকোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খালের ধারে বেআইনি নির্মাণের ঘটনা নতুন নয়। তবে ডায়মন্ডহারবার এর  মথুরাপুর খালকে কেন্দ্র করে যা চলছে কয়েক বছর ধরে তা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মত অনেকের। এই মামলাতেই এদিন জেলা প্রশাসনকে ভর্ত্‍সনা শুনতে হল হাইকোর্টের কাছে।এখন দেখার আদালতের নির্দেশে আদৌও সক্রিয় হয় কিনা জেলা প্রশাসন? যেখানে হাজার হাজার এলাকাবাসীর জনস্বার্থ বিষয় রয়েছে, সেখানে কেন নিস্ক্রিয় ছিল প্রশাসন। সেই প্রশ্ন ঘুরছে মথুরাপুর জুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *