Spread the love

বৈদূর্য ঘোষাল (আইনজীবী – কলকাতা হাইকোর্ট),

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে,,,, সেই কান্নার আওয়াজ এসে পৌঁছেছিল হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়ে ছিলো বিচারের,,,, অবশেষে বিচার মিলল মহামান্য উচ্চ আদালতের হাইকোর্টের বিচারপতি জাস্টিস বিবেক চৌধুরী এজলাসে। সমাজের এক রাক্ষসের অত্যাচারে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ করেছিল নির্যাতিতা জেটিয়া থানার কেস অভিযোগকারীনির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে। উপর্যুপরি ধর্ষণের ফল এই অবাঞ্ছিত গর্ভ, প্রায় ছয় সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর নির্যাতিতা যখন বুঝতে পারে সে গর্ভবতী। এই অবাঞ্ছিত গর্ভকে সারা জীবন অপমানের জ্বালা থেকে বাঁচানোর জন্য সে গর্ভপাত করাতে যায়, কিন্তু দেরি হয়ে গেছে ততদিনে প্রায় ১২ সপ্তাহ অতিক্রান্ত অবাঞ্ছিত গর্ভ অপসারণে অসম্মতি জানালো নিম্ন আদালত। অতএব বিচারের বাণী কড়া নাড়ল উচ্চ আদালতের রাজ্য আইনি পরিষেবার মাধ্যমে আইনজীবী অরিন্দম সেন নির্যাতিতার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে জাস্টিস বিবেক চৌধুরীর এজলাসে সে মামলাটি তোলেন এবং উচ্চ আদালত সম্মতি দেয় অবাঞ্ছিত গর্ভ অপসারণের সঙ্গে ডিএনএ টেস্টের জন্য সরকারি হাসপাতাল কে নমুনা সংগ্রহ করে রাখতে বলা হয় ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন পড়ে তদন্তের স্বার্থে যাতে ডিএনএ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করানো যায় সেই কারণে। হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম সেন এর কথায় নির্যাতিতা নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছিল এবং মাত্র 23 বছর বয়সে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত উপর্যপুরি নির্যাতিতা যাতে রাজ্য সরকারের ভিকটিম কম্পেন্সেশন স্কীমের আওতায় ক্ষতিপূরণ পেতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থার আবেদনও তিনি করে দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *