Spread the love

টুইট যুদ্ধে কুণাল কে লকেট জানালেন – ‘ ভবানীপুরে যেন মমতা না হারেন! ‘ 

সাধন মন্ডল,  
সোমবার টুইটারে কুণাল বনাম লকেটের পোস্ট নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এদিন সকালে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পোস্ট করে থাকেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টপাধ্যায় কে নিয়ে।তার প্রত্যুত্তরে লকেট পোস্ট করেন কুণালের পোস্ট মেনশন করে – ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন হেরে না যান, বিষয়টি আপনি ফোকাস করুন।তার আগে কুণাল ঘোষ টুইট করে লিখেছেন , ‘ভবানীপুরে প্রচারে না যাওয়ার জন্য ‘স্টার ক্যাম্পেনার’ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। বিজেপি অনেক বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আপনি প্রচারে যাননি। আপনি যেখানেই থাকুন বন্ধু হিসাবে আপনার সাফল্য কামনা করছি’। কুণালের কথায়, দুনিয়াটা খুবই ছোট। আশাকরি সেই দিনটা ফিরে আসবে, যেদিন আপনি রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেছিলেন। অনেকে দাবি করেন, কুণালের পৌরোহিত্যেই রাজনীতিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কুণালই লকেটকে নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তার তৃণমূল থেকে শুরু লকেটের রাজনৈতিক কেরিয়ার। পরে বিজেপিতে যোগ দেন লকেট। তার পর তাঁর যোগ্যতা দিয়েই বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে উত্থান হয়েছে লকেটের। এমনকি অভিনয় জগতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওজন লকেটের তুলনায় বেশি হলেও, বিজেপির অভ্যন্তরীণ রসায়নে তা উল্টে গেছে। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হয়েছিলেন লকেট। পরে উনিশের ভোটে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন।তবে কুণালের এই টুইট ফের জল্পনা উস্কে দিয়েছে। তবে কি বাবুল সুপ্রিয়র মতো লকেট চট্টোপাধ্যায়ও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন! লকেটকে নিয়ে এই জল্পনা গত প্রায় পক্ষকাল ধরে চলছে। মাঝে এমনও রটে গিয়েছিল যে লকেট নাকি কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য লকেট সে কথা অস্বীকার করেন। বলেন, এ সব গাঁজাখরি গল্প। এদিনও কুণালের জল্পনায় কিছু জল ঢেলেছেন লকেট। তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, লকেটের এই টুইটে জল্পনার পুরো মেঘ কেটে গেল, তা এখনই বলা যাবে না। বরং ঘটনা নতুন মোড় নিতেও পারে। কি ঘটবে তা সময়ই বলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *