Spread the love

ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস,

নীহারিকা মুখার্জ্জী

সীমিত সামর্থ্য নিয়েও মনীষীদের জন্ম বা মৃত্যুদিন পালনে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করে চলেছে দক্ষিণেশ্বরের সাংস্কৃতিক জগতের সুপরিচিত নাম গাঙ্গুলি বাড়ি। গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনেও তার অন্যথা ঘটলনা। আন্তরিকতা ও আবেগকে সম্বল করে পারিবারিক পত্রিকা ‘আয়াস’-এর উদ্যোগে স্থানীয় স্বামীজী সংঘের ক্লাব ঘরে
নিজস্ব সাংস্কৃতিক বলয়ের একদল বিদ্যাসাগর প্রেমী মানুষ ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মদিবস পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. তাপস দেব, ড. অশোক মিশ্র, ড. দীনেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, দেবীপ্রসাদ মজুমদার, নিতাই মোহন চ্যাটার্জী, প্রবীণ নাট্য-অভিনেতা সুনীল কোলে, প্রিয়জিৎ ভৌমিক, সমর শংকর চট্টোপাধ্যায় এবং দর্পণা গাঙ্গুলি ও সূচনা গাঙ্গুলি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং আগ্রহী ছাত্র।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ ও নাটক তো ছিলই, বাড়তি সংযোজন হিসাবে ছিল একগুচ্ছ পণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ তর্ক-বিতর্ক ও পারস্পরিক আলোচনা। যার হাত ধরে বিদ্যাসাগর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য উঠে আসে। এরফলে শুধু ছাত্ররা নয় উপস্থিত প্রত্যেকেই সমৃদ্ধ হয়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সম্মাননা দেওয়া হয় বিশিষ্ট কবি সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়কে। সংস্থার পক্ষ থেকে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় মানপত্র। অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি অপর কবি মীরা ঘোষ। জানা যাচ্ছে পরে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।

 পরিবারের পক্ষ থেকে কবি-সাংবাদিক সূচনা গাঙ্গুলি বললেন - একগুচ্ছ পণ্ডিত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করার সুযোগ পেয়ে আমরা ধন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *