Spread the love

উপনির্বাচনে কেন্দ্রগুলি কোভিড প্রায় জিরো, কমিশন কে জানাচ্ছে  তৃণমূল 

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,

 
একুশে বিধানসভা নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক প্রার্থীদের ভোটের সময় কিংবা ফলপ্রকাশের পর মৃত্যু ঘটেছে।সেসব আসন গুলির উপনির্বাচন থমকে রয়েছে মারণ ভাইরাস করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্যে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা।এই সপ্তাহে উপনির্বাচনের আওতায় থাকা সাত বিধানসভা কেন্দ্রে কোভিড প্রায় শুন্য।তা নির্বাচন কমিশন কে জানাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি সিপিএম,কংগ্রেস, বিজেপি দলের পক্ষ থেকেও স্বতন্ত্র মতামত  জমা দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন কে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ। পাঁচ জেলায় সাত বিধানসভার কেন্দ্রে কোন সপ্তাহে কতজন আক্রান্ত, কতটা বাড়লো,কতটা কমলো তা গ্রাফ করে জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলায় পড়ছে দুটি কেন্দ্র। গত এক/দেড় সপ্তাহে করোনা পজিটিভ শুন্য। জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জ দুটি কেন্দ্রে করোনার নুন্যতম প্রকোপ নেই।এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীদের মৃত্যু ঘটেছিল। কোচবিহারের দিনহাটার বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ পদে বহাল থাকায়, তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গত এক সপ্তাহে এখানে করোনা পজিটিভ দু চারজন।উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ভোটে জিতেও মারা যান ফলাফল প্রকাশের পর।তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এখানে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টপাধ্যায়। যিনি ভবানীপুর আসনে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য ছেড়েছেন। খড়দহে গত এক সপ্তাহে করোনা পজিটিভ ৫ থেকে ৮ জন।ভবানীপুর কেন্দ্রে করোনার নুন্যতম প্রকোপ নেই।গোসাবা কেন্দ্রে করোনার প্রকোপ নেই।এইসব দাবি, তথ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এই সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন কে মতামত জানাচ্ছে ভোটপর্ব দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য । অপরদিকে বিজেপির দাবি,  যদি সত্যিই করোনার প্রকোপ শুন্য থাকে তাহলে মহামারী আইনে কেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনুমতি বাতিল করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।লোকাল ট্রেন কেন চালু হচ্ছেনা?  এইসব তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বিজেপিও এই সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন কে মতামত জানাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *