Spread the love

অবিশ্বাস্য নয় নোবেল পদপ্রার্থী বিচার করবে, নদীয়ার গ্রামের ছেলে,

প্রবাল চৌধুরী,

ডক্টর অসীম কান্তি রায়. ইনি হলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। বাড়ি, নদীয়ার গাঙনাপুরের গোপি নগরে। তবে তার বর্তমান বাসস্থান নরওয়ে। সেখানে অসলো বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ বিভাগের অধ্যক্ষ। তবে তার এই কৃতিত্ব ভারতবাসী তথা বাংলার অনেক মানুষের অজানা। তবে তার গবেষণা প্রতিবছরই আকাশ কুসুম সাফল্য লাভ করেছে। বিশ্বকে তিনি খোঁজ দিয়ে চলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার.। সেই কারণেই এবার ডাগ পড়েছে নোবেল কমিটিতে পদপ্রার্থী বাচার জন্য। নোবেল কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল এবং ক্যারলিনেস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টমাস পারম্যান। তিনি বাঙালি বিজ্ঞানী দত্তকে জানিয়েছেন এক বা একাধিক নোবেল পদপ্রার্থী বিজয়ী নাম তুলে আনতে হবে। এই মেইলের জবাবে মসলা থেকে অসীম বাবু ফোনে বলেন আমি অত্যন্ত গর্বিত আমাকে বাঁছা হয়েছে নোবেল পদপ্রার্থী বাছাইয়ের জন্য। দত্তবাবুর কাছে দত্তের কাছে এটা যে একটা বিরাট সম্মান তা জানাতে ভুলেন নি নোবেল কমিটিকে। তিনি এও জানান তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।

ইতিহাস সাক্ষী চিকিৎসা শাস্ত্রে বাঙালির অবদান কম নয় আর ডক্টর দত্ত যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন সেটি অনবদ্য বিশ্বের ইতিহাসে সিরোসিস অফ লিভার ইন চিলড্রেন গবেষক নীলরতন সরকার থেকে শুরু করে মেঘনাথ সাহা ডক্টর সি ভি রামন কাদম্বিনী বসু প্রত্যেকের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে বিশ্বের ইতিহাসে। এছাড়াও বাঙালির গর্ব বিধান চন্দ্র রায়ের নাম কমবেশি প্রত্যেকেরই জানা। প্রতিবছরই বিভিন্ন দিক থেকে বাঙালির নোবেল জয় কে বিশ্ব দরবারে প্রত্যেকে চাক্ষুষ করেছে। চিকিৎসা শাস্ত্র থেকে শুরু করে রসায়ন অর্থনৈতিক যুগান্ত করি আবিষ্কার গুলোকে নোবেলের সম্মানিত করা হয়। তবে আমরা নোবেল জয়র নাম জানলেও কে এই নোবেল জয়ী কে প্রাপ্য সম্মানে আনছে তার নাম ব্রিটিশ জার্মানি আমেরিকা এটাই শুনে এসেছে ভারতবাসী। তবে এবারের খাতায় নাম লিখল নদীয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে ডক্টর বসু। তিনি কাজের সূত্রে অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ে গবেষণা করলেও তার মন আজও পড়ে আছে এই বাংলার মাটিতে। শুধু এটাই নয় নোবেল কমিটিতে তার নাম উঠে এসছে। তবে তিনি সেক্ষেত্রে কারা চিকিৎসাশাস্ত্রে আবিষ্কার করেছেন তার খদিস দিয়েছেন। তবে তিনি এবার নিজেই পরীক্ষকের আসনে বসবে বলে জানিয়েছেন নোবেল কমিটিকে। কৃতিত্বের এই বিজ্ঞানী কারোলি নাস্তা ইনস্টিটিউট অধ্যাপক থমাস পারমান যেদিন তাকে মেইল করেছেন সেদিনই তিনি ফোনে জানিয়েছেন তিনি গর্বিত তিনি যোগ দিচ্ছেন পরীক্ষকের আসনে।

অসীম বাবু শুধু অধ্যাপনায় থেমে থাকেননি বিশ্ব বিখ্যাত মুখ্য সম্পাদক। নদীয়ার গোপি নগরে কেটেছে তার শৈশব। গোপিনগর হাই স্কুল থেকে পাশ করার পরেই ধীরে ধীরে তিনি তার লক্ষ্যে অবতীর্ণ হন। পারিবারিক অবস্থা যে খুব একটা ভালো ছিল তা নয়, খুব দারিদ্র্যের মধ্যেই কাটিয়েছেন। বহু প্রতিকূলতা তার কর্মজীবনে এসেছে। কোন প্রতিকূলতায় তাকে আটকাতে পারেনি। তিনি এও জানিয়েছেন প্রতিবছর বাংলার মাটির টানে তিনি একবার হলেও তার গ্রামে ঘুরে যান। গানটির নাম নদীয়ার না পুর।। প্রায় 40 বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮১ অসীম বাবু চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষার জন্য আমেরিকায় যান। তারপর তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্বধ্যাপনা কাজ করেন বিভিন্ন সংস্থায় মুখ্য বৈজ্ঞানিকের ভূমিকা পালন করেন। এরপর ২০০১ সাল থেকে তিনি অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার কাজ শুরু করেন। ডক্টর অসীম বাবুর নামে আন্তর্জাতিক পাঁচটা পেটেন্ট রয়েছে। তার গবেষণার মধ্যে টম্যাটো ও কিউ ফলের অ্যান্টি থ্রম্বটিক ফ্যাক্টর উল্লেখযোগ্য। এটি হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা নিবারনের অ্যামপিরিণ। যা হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কে কমিয়ে দেয়।এই মুহূর্তে অসীম বাবু ৩২৬ টি রিসার্চ পেপার তৈরি করে রেখেছেন। রানাঘাট কলেজ থেকে পাস করা বায়ো কেমিস্ট্রি ছাএ দু বছরেই তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পিএইচডি পাশ করার পরেই বিজ্ঞানী জেমস ব্ল্যাক এর সাথে দেখা করেন এবং গবেষনায় মনোনিবেশ করেন। এখান থেকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু তার। ১৯৮৮ সালে মেডিসিনের জন্য নোবেল পুরস্কার যৌথভাবে ভাগ করে নেন । তার চিকিৎসায় কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য বি- জেনা সম্মানিত করেন। আজ হয়তো আমাদের প্রত্যেকের সামনেই এই অসীমবাবুর কথা অজানা থাকতো। এই বিজ্ঞানীর কথা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আনলেন স্যানসুই W.B সভাপতি ও ভিসা এবং এডুকেশন কনসালটেন্সির কর্ণধার নির্মল সাহা। কর্মসূত্রে এবং তার ক্যারেটের প্রশিক্ষণ সূত্রে দেশ বিদেশে যাওয়া। আর সেখান থেকেই বাংলা এবং বাঙালির গর্ব কে তুলে এনে মানুষের সামনে তুলে ধরা তার আজকের দিনের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এরকম কাজে নির্মল বাবুর পাশে থাকছেন প্রফেসর ডক্টর সান্তনু দত্ত কাডিও বিভাগ এস এস কে এম হাসপাতাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *