পাখিদের কবি,অচ্যিন্ত সিংহর স্মরণ সভা পূর্বস্হলীতে,
দীপঙ্কর চক্রবর্ত্তী,
সদ্য প্রয়াত হয়েছে অচ্যিন্ত সিংহ।নয়ের দশকে পূর্বস্হলীর চুপিতে ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ বিদেশ থেকে পরিযায়ী পাখপাখালী এখানকার পরিত্যক্ত জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে।তাদের এখানে স্হায়ী ভাবে থাকবার জন্য অচ্যিন্ত বাবু দলবল নিয়ে বিভিন্ন কাজ শুরু করলেন।গড়ে তুললেন বনবিথী নামে সেচ্ছাসেবী সংস্হা।এদিকে বাড়িতে স্ত্রী ও এক মেয়ে।হাঁড়ি চড়ে না।না খেতে পাওয়া মানুষটা পূবস্হলী এলাকার কচিকাচাদের নয়নের মনি হয়ে উঠলেন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতির ছবি আঁকার জন্য।তাদের ছবি আঁকাতে শুরু করলেন।লিখে চললেন ছোট বড় সকলের জন্য ছড়া,কবিতা।দুটি কবিতার বই তার রাঙাবেলা পান্চজন্য।অবনী ভূষন বালা,সুদীপ বিশ্বাস,দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলছিলেন অতি সাধারন, সদাহাস্যময় মানুষটি এত গুনের অধিকারী,সকলের অতি প্রিয় মানুষটি এত তারাতারি চলে যাবেন কেউ ভাবতে পারেন নি।তিনি বৃহত্তর পার্বস্হলীর মানুষ,নতুন প্রজন্মকে আরো অনেক কিছু দিয়ে যেতে পারলেন না সেটাই সকলের আক্ষেপ থেকে গেল।শনিবার থানা সংলগ্ন মাঠে অচ্যন্ত সিংহর স্মরণ সভা আয়োজিত করেন পূর্বস্হলী শারদ অর্ঘ্য সাহিত্য পরিষদ।বিধায়ক তপন চ্যাটার্জী,থানার আই সি সন্দীপ গাঙ্গুলী,জাতীয় শিক্ষক সুব্রত দাস পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।স্হানীয় ও দারদূরান্তের ৬০ জন কবি,লেখকরা বেশ কিছু অর্থ অচ্যিন্ত বাবুর স্ত্রীও কন্যার হাতে তুলে দেন।সকলে অচ্যিন্ত বাবুর জীবন,সংগ্রাম,তার কাজ নিয়ে আলোকপাত করেন হয় সংগীতও।