Spread the love

১৮ এর নিচে বিয়ে করার পর সাবালক হলে বিচ্ছেদ চাইতে পারে দম্পতি 

খায়রুল আনাম , 


১৮ এর নিচে বিয়ে করার পর বিবাহ পরবর্তী সময়ে বিয়ে বাতিল ঘোষণা না করলে বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে পারে দম্পতি। এইরুপ রায় জানালো পাঞ্জাব হরিয়ানার হাইকোর্ট। লুধিয়ানার এক পারিবারিক আদালতের  আদেশ খারিজ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি রিতু বাহরি ও বিচারপতি অরুণ মঙ্গারের ডিভিশন  বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়  । পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে এক দম্পতির ডিভোর্সের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল লুধিয়ানার পারিবারিক আদালত। বিয়ের সময় মেয়েটি ছিল নাবালক। পারিবারিক আদালত রায় দিয়েছিল, বিয়ের সময় মেয়েটির বয়স ১৮র নীচে ছিল, ফলে এমনিতেই ওই বিয়ে বৈধ নয়। তবে হাইকোর্ট বলেছে, বিয়ের সময় মেয়েটির বয়স ছিল ১৭ বছর ৬ মাস, ৮ দিন। সে বিয়েটা বাতিল ঘোষণা করতে যে কোনও কারণেই হোক, পিটিশন দাখিল করেনি, তাই ১৯৫৫-র হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ বি ধারায় ডিভোর্সের আবেদন মঞ্জুর করা উচিত ছিল। দুপক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করার পর পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ডিভোর্স অনুমোদন করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২০০৯ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি লুধিয়ানার ছেলেটি ও মেয়েটি বিয়ে করে। ছেলেটির বয়স তখন প্রায় ২৩ বছর। ২০১০ এর ৩১ জানুয়ারি তাদের একটি সন্তান হয়। গত বছর ২২ জুন লুধিয়ানার পরিবার আদালতে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পিটিশন দাখিল করে দম্পতি। ১৯৫৫ এর হিন্দু বিবাহ আইনের ৫ (৩) ধারার উল্লেখ করে পরিবার আদালত জানায়, বিয়েটা বৈধ হতে গেলে কনের বয়স ১৮ বা তার বেশি হতে হবে। তবে হাইকোর্ট জানায়, হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫ র ১৩ (২) (চার) ধারায় দুপক্ষকেই বিয়ে ভাঙতে হবে বলে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে ভুল করেছে পরিবার আদালত। বিয়ে বাতিলের এমন পিটিশন পেশ করা যায়, যদি মেয়েটি ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেও ১৮ বছর হওয়ার আগে বিয়ে ভাঙার পিটিশন দাখিল করে, রায়ে বলেছিল মাদ্রাজ ও দিল্লি হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে মেয়েটির বিয়ের সময় বয়স ছিল ১৭র ঠিক বেশি, সাবালক হওয়ার বয়সে পৌঁছেও সে বিয়ে ভাঙার আবেদন করেনি। তাই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিয়ে ভাঙার আবেদন মঞ্জুর করা উচিত ছিল পরিবার আদালতের, পর্যবেক্ষণ  পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *