Spread the love

রাজ্যের তীব্র বিরোধিতা সত্বেও আইনী রক্ষাকবচ পেলেন শ্যামল আদক 

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু
রাজ্যের তীব্র বিরোধিতা সত্বেও আইনী রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদক। সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজষি ভরদ্বাজের  এজলাসে উঠে এই মামলা।সেখানে বিচারপতি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত শ্যামল আদক কে আইনী রক্ষাকবচ দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। সোমবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান – ‘শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে’। যেহেতু বিচারপতি রাজশেখর মান্থার আজ অনুপস্থিত, তাই মামলাটি শুনানির জন্য আসে বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের এজলাসে। বিচারপতি ভরদ্বাজ আদালতে শুনানির সময় জানান -‘ যেহেতু মামলাটি রেগুলার বেঞ্চে শুনানি চলছে, তাই তিনি রক্ষাকবচের সময়সীমা শুক্রবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করছেন’। তবে মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শ্যামল আদক কাঁথি থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিয়েছেন। গত সপ্তাহে  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠেছিল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের আইনী রক্ষাকবচ বিষয়ক মামলা। ওইদিন কলকাতা হাইকোর্ট হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদক  কে  মঙ্গলবার পর্যন্ত আইনী রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন। এই সময়সীমার মধ্যে পুলিশ কোন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেনা বলে আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে। শুভেন্দু  অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর,গত ২৫ জানুয়ারি হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন শ্যামল আদক। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে।  তাঁর বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ তোলে তৃণমূল।সম্প্রতি  অভিযোগ ওঠে, হলদিয়া পুরসভার এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত চার কর্মীকে ফের নিয়োগ করেছেন। এই নিয়ে নথি চেয়ে পাঠায় রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এর আগেই শ্যামল আদককে পলাতক ঘোষণা করেছিল পুলিশ, সিল করে দেওয়া হয়েছিল দু’টি ফ্ল্যাট। তার পরেই তৈরি হয় গ্রেফতারির সম্ভাবনা।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতা।আজ কলকাতা  হাইকোর্ট আগামী শুক্রবার পর্যন্ত  আইনী রক্ষাকবচ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *