Spread the love

পুরুলিয়ায় আশা কর্মী নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারী হাইকোর্টের 

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে আশা কর্মী নিয়োগে ভুয়ো শংসাপত্র প্রদান মামলা। পুরুলিয়ার খামার অঞ্চলের বাসিন্দা ললিতা মাহাত নকল অ্যাডমিট কার্ড দাখিল করে ঝালদার মহকুমা শাসকের কাছ থেকে ‘আশা’ পদের নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন। চন্দ্রমল্লিকা মাহাত দ্বিতীয় পদপ্রার্থী তার যোগ্যতা থাকা সত্বেও বঞ্চিত হন। সেজন্য অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন ঝালদার মহকুমা শাসকের কাছে ললিতা মাহাতর নিয়োগ খারিজ করে চন্দ্রমল্লিকা মাহতকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হোক দাবি রেখে। চন্দ্রমল্লিকা মাহাত এই মর্মে গত সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ হাইকোর্টে রিট পিটশন দাখিল করেন। সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি লপিতা ব্যানার্জির এজলাসে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি লপিতা ব্যানার্জি জেলা শিক্ষা পরিদর্শক ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দিয়ে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছিলেন।পরবর্তীতে এই মামলার শুনানি হয়  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।এই মামলার শুনানি পর্বে  চন্দ্রমল্লিকার আইনজীবী সৌগত মিত্র বলেন -‘  তার মক্কেল যোগ্য হওয়া সত্বেও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন’। সৌগতবাবু বিচারপতি মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যাতে ললিতা মাহাতর নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।   সৌগতবাবু দাবি করেন ললিতা মাহাতর নিয়োগ খারিজ করা হোক। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে কোয়েলি ভট্টাচার্য বিচারপতি মান্থার এজলাসে রিপোর্ট  দাখিল করে স্বীকার করলেন ললিতা মাহাত বয়স কমানোর জন্য জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন। বিচারপতি মান্থার সমস্ত দিক বিবেচনা করে ললিতা মাহাত নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ও সমস্ত পক্ষকে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *