Spread the love

পুনরায় ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ঘোষণা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের 

অনিন্দ্য চট্টরাজ
অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনে সূযোগ দেওয়া হয়নি বলে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল।সেই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা সিংহভাগ জমা পড়েছে। দাখিল হলফনামায় শতকরা ৯০ ভাগ চাকরিই দু দফাতে বাতিল ঘোষণা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।প্রথম পর্বে ৫৪ জনের মধ্যে ৫৩ জন চাকরি হারিয়েছেন এবং ১ জনের ১০ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা হয়েছে। বুধবার ১৪৬ জনের মধ্যে ১৪৩ জনের চাকরি বাতিল ঘোষণা হলো।২ জন চাকরি ফেরত পেয়েছেন প্রশ্নভূল মামলায় অতিরিক্ত ৬ নাম্বার যুক্ত হওয়াতে।বাকি ১ জনের আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি হবে তাঁর চাকরির বৈধতা নিয়ে।

প্রাথমিকে নিয়োগে চাকরি গেল আরও ১৪৩ জনের। আগেই বাতিল করা হয়েছিল ৫৩ জনের চাকরি। বুধবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৪৩ জনের চাকরি বাতিল হল। বৃহস্পতিবারই হলফনামা জমা দেবেন আরও  ৫৯ জন। এদিন বেতন বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।এই নিয়ে প্রাথমিকে মোট ১৯৬ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।প্রাথমিকে নিয়োগে অনিয়মের জন্য যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, বুধবার তাঁদের মধ্যেই ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল হাইকোর্টে। সম্প্রতি  কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগে  ৫৪ জন নিজেদের চাকরির পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন আদালতে। তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। সেই হিসাবে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার ফের ১৪৬ জনের হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে যা বক্তব্য ছিল, তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। অভিযোগকারী মামলাকারীর দাবি, ১৪৬ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত যে মেসেজ মোবাইলে পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, সেটি একই সময়ে পাঠানো হয়েছিল। একই মোবাইল থেকে পাঠানো হয়েছিল। অর্থাত্‍ কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকেই নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, পর্ষদ তাঁদের প্রত্যেককেই এক নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই বিচারপতি তাঁদের প্রত্যেকেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।প্রাথমিকে নিয়োগে ২৬৮ জনের মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কেবল ২ জনের চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন ভুলের জন্য তাঁরা অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। আরেক জনের ক্ষেত্রে বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর নথি আরও একবার খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, হাইকোর্টেই তাঁদের চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে। সেই হিসাবে তাঁরা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। তবে  প্রাথমিকে চাকরি যাওয়া ১৪৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি নাকচের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।প্রাথমিকে নিয়োগে অনিয়মের জন্য যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, বুধবার তাঁদের মধ্যেই ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল হাইকোর্টে।হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেন, -‘ এঁদের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি বাতিল ‘। এমনকি, অবিলম্বে ওই শিক্ষকদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি।আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাকি ১ জন এবং ৫৯ জন নুতন হলফনামা জমাকারীদের শুনানি রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *