সাধন মন্ডল,
বাঁকুড়ার টেরাকোটা গ্রাম পাঁচমুড়া এই গ্রামের টেরাকোটার মূর্তি সারা বিশ্বের বাজারে ছড়িয়েছে ।এই গ্রামেই আরো একটি দর্শনীয় মন্দির রথযাত্রার পূণ্য লগ্নে ভক্তদের উদ্দেশ্যে তাদের সেবায় উন্মুক্ত করা হলো যার নাম ত্রিধারা মিলন মন্দির এবং এই মিলন মন্দিরের উদ্যোক্তা হলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ভজন দত্ত। তিনি তার সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় সাত বছর ধরে নির্মাণ কার্য শেষ করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্ট মানুষজন উপস্থিত ছিলেন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আচার্য মধুরূপানন্দ জি স্বামী তিনি মন্দির উদ্বোধনের পথ এই মন্দিরের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও নিয়ম-নীতি রীতিনীতি নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করেন তিনি বলেন শাক্ত,শৈব ও বৈষ্ণবদের তীর্থক্ষেত্র এই ত্রিধারা মিলন মন্দির। একদিন এই মন্দির বাঁকুড়া জেলার গৌর ব হয়ে উঠবে। এখানে এই মন্দিরে প্রতি দিন কালীমাতা ,ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু এবং বাবা মহাদেবের নিত্য পূজা হবে এবং ভক্তরা প্রসাদ পাবেন ।এই মন্দির ভক্তদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করে সমাজসেবী ভজন দত্ত বলেন আমার সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করেছি। এখনো হয়তো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। যা আগামী দিনে করে তোলার চেষ্টা করব আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি এলাকার মানুষের এবং ভক্তদের আনন্দ দান করে তাহলে সেটাই হবে আমার পরম প্রাপ্তি ও প্রসাদ। এখানে দূর দূরান্তের ভক্তদের যাতে কোন রকম অসুবিধে না হয় তার জন্য ৩৯ টি কক্ষ রয়েছে যেখানে ভক্তরা এসে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। এবং তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে। এইরকম একটি মন্দির গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলাম আজ তা সকলের সহযোগিতায় বাস্তবে রূপ পেল। এলাকার আপামর জনসাধারণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সকলের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আগামী দিনে চলার পথে সকলের সহযোগিতা কামনা করি ।উল্লেখ্য উদ্বোধনের পর এই মন্দির চত্বরে 24 প্রহর ব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন এর আয়োজন করা হয়েছে এই তিন দিনে মন্দির দর্শন করতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটেছে বলে দাবি করে জানালেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষক ও টেরাকোটা শিল্পী বিশ্বনাথ কুম্ভকার। তিনি বলেন পাঁচমুড়ায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সমাজসেবী ভজন দত্ত। আগামী প্রজন্মের কাছে একটি দর্শনীয় মন্দির হয়ে রইল।