মঙ্গলকোটে পুলিশের সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম উদঘাটন হলো
সম্প্রীতি মোল্লা , মঙ্গলকোট
অপরাধ দমনে এবং পরিষেবা প্রদানে আরও আধুনিক এবং আরও গতিশীল হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা।এলাকার সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে মঙ্গলকোট এলাকায় মোট ২৪৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধেবেলায় মঙ্গলকোট থানা অফিসে তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন। তিনি ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, কাটোয়া মহকুমার পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোটের বিডিও জগদীশ বারুই, মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখোপাধ্যায় সহ অনান্যরা। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ , -‘ ওইসমস্ত সিসিটিভি গুলি মঙ্গলকোট থানা থেকেই কন্ট্রোল করা হবে। সেজন্য থানায় আলাদা করে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলকোট থানাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে’। এর পাশাপাশি থানায় আগত উর্ধ্বতন অফিসারদের জন্য নতুন বিশ্রাম কক্ষও তৈরি হয়েছে। এইসবেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার। এছাড়া পশ্চিম মঙ্গলকোটের চানক কৃষ্ণপুর এলাকায় পুলিশ পাঠাগার চালুর ব্যাপারে এলাকার একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ বিশেষভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার সেই মানুষটির উপার্জন সুনিশ্চিত করতে তার হাতে একটি নতুন টোটোর চাবি তুলে দেন পুলিশ সুপার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার বড় থানা গুলির মধ্যে একটি অন্যতম হল মঙ্গলকোট। এখানে ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ফলতো এতোবড় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সুবিধার্থে এমন চিন্তাভাবনা পুলিশের। মঙ্গলকোট থানার একাধিক প্রত্যন্ত গ্রামের মোড়ে যেমন সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। তেমনি মঙ্গলকোট থানা এলাকায় ঢোকা এবং বেরোনোর একাধিক রাস্তা গুলিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন বলেন, -“এতো পরিমাণ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় এলাকায় ক্রাইম হলে খুব সহজেই তা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া ক্রাইমের চেষ্টা করা হলে, যথাসময়ে বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে তা আটকানোও সম্ভব হবে”। স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী জানান, -‘ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলাকে বজায় রাখতে সিসিটিভি যথেষ্ট কাজে আসবে”। আর এই ধরনের কাজের জন্য তিনি সবসময়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন । এব্যাপারে মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, -” মঙ্গলকোটে শান্তি বজায় রাখায় তার মূল লক্ষ্য”। এইসমস্ত সিসিটিভি ও থানার কাজকর্ম করতে সর্বতোভাবে পুলিশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এলাকার বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতি। আর আগামীদিনেও এভাবেই সকলের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানান পিন্টু বাবু। আর আবেদনে সাড়া দিয়ে ওইদিন মঞ্চ থেকেই ১৭ লক্ষ টাকা মঙ্গলকোট থানার উন্নয়নের জন্য দেওয়ার কথা জানান বিধায়ক। তারমধ্যে সাংসদ তহবিল থেকে ১২ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দেওয়া হবে বলেই জানান বিধায়ক। আর সেই টাকায় আগামীদিনে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।বীরভূমের নানুর সীমান্তবর্তী পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকায় অপরাধ দমনে সিসিটিভি কতটা কার্যকর ভূমিকা নেয়? তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।