পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্র কে অতিরিক্ত সময় সুপ্রিম কোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল পেগাসাস ইস্যুতে ১২ টি পিটিশনের মামলা গুলি।তিন সদস্যর ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এই মামলা।গত ১৭ আগস্ট এই মামলা গুলি দাখিল শুরু হয়েছে। আজ পেগাসাস ইস্যুতে সিট গঠনের জন্য মতামত চেয়ে কেন্দ্র কে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্নার এজলাসে উঠেছিল পেগাসাস নিয়ে মামলা। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট মামলা নির্দেশ দিয়েছিল মামলাকারীদের কে – ‘ সোশ্যাল মিডিয়ায় এত বিতর্ক কেন, যা বলার আদালত কে বলুন’। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ – ‘ পেগাসাস স্পাইওয়ার ফোনের তথ্য চুরি করার এমন নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি’। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বল।তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৬৯ নং ধারায় সরকার সার্বভৌমত্ব, আইনশৃঙ্খলা, অপরাধের সুত্র জানতে ফোনে আড়ি পাততে পারে।পেগাসাস ইস্যুতে সংসদ ভবনে গত বাদল অধিবেশনে বিরোধীরা তুমুল হইহট্টগোল চালিয়েছে। যার জেরে সংসদ চলেনি বলা যায়।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের পেগাসাস ইস্যুতে ১২ টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এনভি রামান্না এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে এই সব মামলাগুলি।সেখানে সুপ্রিম কোর্ট মামলাকারীদের উদ্দেশ্য জানায় – ‘ আপনারা সবাই শিক্ষিত, তাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কেন মামলা করলেন না? ‘ সেইসাথে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ -‘ পেগাসাস স্পাইওয়ার নিয়ে মিডিয়ার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্যি হলে বিষয়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ ‘। আড়িপাতা সত্যি হলে তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং টেলিগ্রাফ আইনে মামলা দাখিল করা হলো না কেন? এই প্রশ্নও তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।। অন্য এক পিটিশনে ‘এডিটর গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’ পেগাসাস ইস্যুতে বিশেষ তদন্তকারী টিম গঠনের আবেদন রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মামলাকারীদের মধ্যে আইনজীবী মনোহর লাল শর্মা, সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস, সাংবাদিক এন রাম, শশী কুমার অন্যতম।