দিদির সুরক্ষা কবজ – গুসকরায় জেলা তৃণমূল সভাপতি
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ এর দূত হিসাবে প্রথমবারের জন্য গুসকরায় এলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী রটন্তীকালী তলায় পুজো দিয়ে শুরু হয় দূতের যাত্রা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সেখান থেকে যান ব্লক কৃষিদপ্তরে। কৃষি আধিকারিকের কাছে বিভিন্ন সমস্যা জানার চেষ্টা করেন। বিদ্যুতের সমস্যার কথা জানালে সভাপতি সেটা সমাধানের জন্য সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন।
এরপর তিনি গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকদের কাছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় জনৈক রুগী তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির আপগ্রেডেশনের জন্য অনুরোধ করেন। আগেই এই বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য তিনি দ্রুত
স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উন্নতির ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
সেখান থেকে তিনি গুসকরা পৌরসভায় যান। সেখানে দলীয় কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং পৌরসভার বিভিন্ন সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন।
বিকেলে তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ও একটি ছোট জনসভা করেন। এখানেই এলাকার পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, জেলা সহ সভাপতি মল্লিকা চোংদার, গুসকরা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম, যুব সভাপতি কার্তিক পাঁজা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম, চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সচিব, সভাপতি ও শহরের তৃণমূল কর্মীরা।
দীর্ঘদিন পর পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতিকে কাছে পেয়ে গুসকরায় তৃণমূলের দুর্দিনের অনেক কর্মীকে যথেষ্ট উৎসাহিত লাগছিল। যদিও তাদের মধ্যে কিছুটা আড়ষ্ট ভাব ছিল।