(একটা নারী যদি রাতের অন্ধকারে ধর্ষিতা হয় তখন তার কর্মক্ষেত্র এবং পোশাক কে দায়ী করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার কলম)
বিধিনিষেধ
সঙ্গীতা মুখার্জী
শহর ঘুমিয়ে পড়তেই—-
রাতের প্যাঁচারা পৃথিবীর বুকে নেমে এলো
ওত পাতলো শিকারের খোঁজে
হিংস্র পশুদের নখর গুলো—
তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণতর হয়ে উঠলো
ঠিক তখনই,
খাদ্য-খাদকের জটিল জালের সম্পর্কের ধস্তাধস্তি।
রাষ্ট্রের চোখে তখন অন্ধকারের নিশ্চিন্ত আস্তরণ
ভোরের ক্ষীণ আলোয় স্পষ্ট দৃশ্যমান
খুবলে খাওয়া দেহটার তীব্র যন্ত্রণা।
নিখোঁজ বেশ কয়েকটি সরীসৃপদের বিষদাঁত
প্রতিবাদী মুখের ভিড়ে ঠাসা সংবাদ মাধ্যম
ঠাণ্ডা ঘরে থাকা গুটি কতক শৌখিন আঙুল
বিচারসভা বসায় পোশাকের
উগ্র ঘৃণার গন্ধ ছড়ায় কর্মক্ষেত্রের
কেবলমাত্র নেড়ি কুকুরটাই—–
শাড়িটা মাটি থেকে টেনে তুলে বিবস্ত্র করলো প্রশাসনকে।
ততক্ষণে সাদা খাতায় পাণ্ডুলিপির পরিসমাপ্তি
একটা আস্ত দিন ঢুকে গেলো আলোহীন গহ্বরে।
চুপ!!!! সব কথা প্রকাশ্যে বলতে নেই
আমরা মুখে কুলুপ এঁটে
বেঁচে থাকা শৈশবকে জড়িয়ে মোমবাতি হাতে হেঁটে এলাম।।
সঙ্গীতা মুখার্জী