মানবতা,
গোপা ভট্টাচার্য্য,
ধর্ম আগে, নাকি সমাজ?
প্রশ্ন সবার মনের মাঝে, দ্বন্দ্ব বারোমাস।
ধর্ম হলো বন্ধন এক অগাধ নিষ্ঠার,
ধর্ম হলো বাঁধন যত বোধ আর ভালোবাসার।
ধর্মজ্ঞানে পুজ্য সদা সততার,
ধর্ম দেখায় সঠিক দিশা, উদার মানবতার।
ধর্ম বলে না কোন গোঁড়ামির কথা ,
নয় তা কুসংস্কার কিংবা কপটতা !
ধর্ম বলে, এসো সবাই –একসাথে পথ চলি,
সমাজ থেকে মুক্ত করি ময়লা আর মনের ধুলি।
ধর্মের নামে আজ হানাহানি হয় যত,
মানুষে মানুষে শত্রুতা তাই বাড়ছে কত শত।
প্রতিনিয়ত এই অধম কাজ, করে যায় আজ যারা,
চেনো তাদের– ক্ষমতালোভী, পাষন্ড সব তারা।
সমাজটাকে ধর্মের নামে বিষিয়ে দেয় নিজ স্বার্থে,
ধর্মের নাম কলুষিত করে, প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
চাই এক সততার সমাজ,
যে সমাজে, পাপ- হিংসা- দম্ভ থাকবে না আর,
ধর্মের নামে হবে না যুদ্ধ, রক্ত ঝরবে না বারবার;
হিন্দু , মুসলিম, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ আর ক্রিশ্চান,
সবার মাঝেই আল্লাহ,যীশু, ঈশ্বর, ভগবান,
নিজ স্বার্থে বিষ আজ ছড়িয়ে যাচ্ছে যারা,
ধর্মের নামে এরাই করছে কাটাছেঁড়া।
ভাই ভাইয়ের রক্তে রাঙা যত তলোয়ার,
আর কবে বুঝবে সবাই পাপীদের কারবার?
আত্মাকে শুধাও সবে ভ্রান্ত পথ ভুলে,
ধর্ম শুধু মানবতা আর অহিংসার কথা বলে।
প্রতিহিংসা ত্যাগ করে হও সবে ধার্মিক,
সমাজ সবার, আমার- তোমার, সুস্থ করো সার্বিক।
উন্মোচিত হোক জ্ঞান চক্ষু, ঘুচাও কালিমা সব,
মানবজাতির কণ্ঠে উঠুক মানবতার জয়রব ;
সমাজ হোক সুস্থ সবল, ধর্ম যার স্বচ্ছ ধবল,
বিভেদ ভুলে মানবতায় দীক্ষা হোক সবার,
ধর্ম হবে সুস্থ সমাজের খাঁটি এক অলংকার।