ভুয়ো ভোটার নিয়ে হইচই ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুলে
এস.মন্ডল,
বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্যের সবথেকে হাইপ্রোফাইল আসন ভবানীপুরে উপনির্বাচন। কেননা এখানে ভোটপ্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুলে ভুয়ো ভোটার ধরলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বুথে। তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল বেঁধে যায়।এলাকায় চাঞ্চল্য পড়ে যায় তখন। বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার এনে ভোট করাচ্ছে শাসক দল। সেই ভোটারকে ধরে মারধরও করা হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দেহ হয়। ভুয়ো ভোটারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপরেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। তৃণমূল দাবি করে, যাকে ধরে মারধর করা হয়েছে তার কাছে ভোটার স্লিপ ছিল। আসলে বিজেপিই ভুয়ো ভোটার এনে অশান্তি ছড়াচ্ছে। ঘটনাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল দাবি করেছেন, -“কোনও ভোটার আইডি দেখাতে পারেনি ওই তরুণ। তাকে জিজ্ঞাসা করতেই সন্দেহ হয়। সে জানায়, বাড়ি থেকে ভোটার কার্ড এনে দেখাবে”। তার আগেই বিজেপি কর্মীরা ধরে ফেলে মারধর করে শুরু করে। ভবানীপুরে ভোট শুরু হতেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুর ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ রোডের ১২৬ নম্বর বুথে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি। ভবানীপুরে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও কীভাবে দোকানপাট খোলা রয়েছে, সে অভিযোগও জানানো হয় নির্বাচন কমিশনে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ উড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান,-” মক পোলের জন্যই ভোট শুরু হতে দেরি হয়। কোনও ইভিএম বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেনি”। নির্বাচন কমিশনও একই জবাব দেয়। বিজেপির অভিযোগ, ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করছে শাসক দল। ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, সকাল থেকে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে ভবানীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। তাঁদেরকে নজরবন্দি করার দাবিও জানানো হয়েছিল। এখন সবাই তাকিয়ে এই কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে।