গৌতম তালুকদার, (সম্পাদক বিধান শিশু উদ্যান)
জন্মেছিলেন ১৯০৪ সালের ২৮ আগষ্ট। গেল তাঁর আর একটি জন্মদিন। এবছর অর্থাৎ ২০২১ সাল ধরলে এটি তাঁর ১১৮ তম জন্মদিন। আর বছরের হিসেব ধরলে ১১৭ তম জন্মবার্ষিকী। মানুষটির নাম অতুল্য ঘোষ। ক্ষমতার উচ্চ আসনে থাকাকালীনই ষাঠের দশকের শেষে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। হয়ত মনে করেছিলেন ভবিষ্যৎ রাজনীতি যে পথে যাচ্ছে সেখানে তিনি পা মেলাতে পারবেন না। এই দুরদৃষ্টির জন্যই অতুল্য ঘোষ সকলের থেকে আলাদা।
রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছাবসরের পর তিনি আরো গঠনমূলক কাজে নিজেকে নিয়জিত করেছিলেন। ড. বিধান চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই ১৯৬২ সালে তৈরী করেছিলেন ড. বি,সি,রায় মেমোরিয়াল কমিটি। কমিটির দুটি বড় অবদান হোলো নারকেলডাঙ্গার কাছে ড.রায়ের স্মৃতিতে একটি শিশু হাসপাতাল নির্মাণ এবং উল্টোডাঙ্গার কাছে বিধান শিশু উদ্যান নির্মাণ।
বিধান শিশু উদ্যানে গতকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল অতুল্য ঘোষ মানে আমাদের সকলের প্রিয় দাদু’র ১১৮ তম জন্মদিন। করোনা অতিমারির কারনে সমস্ত বাহুল্য বর্জন করে আন্তরিকতার সঙ্গে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। Google meet এবং ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে আহমেদাবাদ থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. তপন মিশ্র মহাশয়। উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন – তেতাল্লিশ বছর আগে বিধান শিশু উদ্যানে এসেছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে স্থান পাবার দৌলতে অতুল্য ঘোষ মশাইয়ের হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণের জন্য। তার আগে শুধু অতুল্য ঘোষের নাম শুনেছিলাম এবং খবরের কাগজে ছবি দেখেছিলাম। বিধান শিশু উদ্যান তাঁর এক অসাধারন সৃষ্টি। দিন দিন এই প্রতিষ্ঠান আরো বড় হয়ে উঠুক এই কামনা করি। এরপর উদ্যানের কলাকেন্দ্রের সভ্যসভ্যারা নাচ,গান,আবৃত্তির মাধ্যমে তারা তাদের দাদুকে শ্রদ্ধা জানায়। এর পাশাপাশি রোলার স্কেটিং-এ রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।