হাইকোর্টের নির্দেশে ‘ঘরছাড়া’ বৃদ্ধা কে বাড়িতে পৌঁছালো পুলিশ,
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
ঘরোয়া হিংসায় আক্রান্ত বৃদ্ধা কে রবিবার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এহেন তৎপরতা দেখা গেল স্থানীয় থানার পুলিশের মধ্যে।এদিন ওই বৃদ্ধার আইনজীবী সূদুর পুরুলিয়া থেকে এসে স্থানীয় থানার পুলিশ কে সাথে নিয়ে বাড়িয়ে পৌঁছে দেওয়ার মানবিক দায়িত্ব টি পালন করে থাকেন।আদালতের নির্দেশমতো আক্রান্ত বৃদ্ধার বাড়িতে তিনদিন পুলিশ পিকেট থাকবে। অভিযুক্তদের তরফে কোনরকম অভিযোগ উঠলে সক্রিয় ভূমিকা নেবে পুলিশ বলে আদালত নির্দেশিকায় উল্লেখ্ রেখেছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, সদর বাঁকুড়া শহরে শেফালী দত্ত নামে বছর ৮৫ এর এক বৃদ্ধা তার ছোট ছেলে ও বৌমা সম্প্রতি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।এই বৃদ্ধা তার ছোট মেয়ে সুজাতা নাগ ( রেলকর্মী) এর আসানসোলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।বাড়ির দখল নিতে ছোট ছেলে এই কাজ টি করে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্তদের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বাঁকুড়া থানায় গত ১ জুলাই ৩৪ আইপিসি অনুযায়ী ৩২৩,৩২৫,৫০৬ ধারায় মামলা দাখিল করে থাকে। এই মামলায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসার গত ২৪ জুলাই চার্জশিট দাখিল করে থাকে।তবে পুলিশের তরফে বৃদ্ধা কে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কোন প্রয়াস ছিলনা বলে অভিযোগ। ঘরোয়া হিংসা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ আইনজীবী সৌগত মিত্রের হাত ধরে গত ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এর এজলাসে মামলা দাখিল করা হয়। গত ২৪ নভেম্বর এই মামলার শুনানি চলে। সেখানে বৃদ্ধা কে মারধরের ছবি তুলে বিচারপতি কে দেখান মামলাকারীর আইনজীবী সৌগত মিত্র।বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বাঁকুড়া জেলা পুলিশ অত্যন্ত দ্রুত আক্রান্ত বৃদ্ধা কে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ পিকেট বসানো সহ।আজ অর্থাৎ রবিবার বিকেল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশের সহযোগিতায় বৃদ্ধা কে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। মামলাকারীর আইনজীবী সৌগত মিত্র জানান – ” মানবিক দিক দিয়ে এই ধরনের মানুষদের বারবার সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি”।