প্রথম পর্যায়ের দুয়ারে সরকারের পর পুনরায় দ্বিতীয়
পর্যায়ের প্রথম দিনের দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হল সালানপুর ব্লকের রূপনারায়নপুর ও আছড়া পঞ্চায়েতে।

কাজল মিত্র :-বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আবার ক্ষমতায় এলে তফসিলি জাতি উপজাতি মহিলাদের ১০০০টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০টাকা করে দেওয়া হবে।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে প্রথম পর্যায়ের দুয়ারে সরকারের পর পুনরায় দ্বিতীয়
পর্যায়ের প্রথম দিনের দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হল সালানপুর ব্লকের রূপনারায়নপুর ও আছড়া পঞ্চায়েতে।এদিনের এই দুয়ারে সরকারের শিবিরে বহু মানুষকে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেল।এই শিবিরে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের জন্যে রাখা হয়েছে ।প্রথম পর্যায়ের দুয়ারে সরকারে যেসকল মানুষ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে তাদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নির্দেশে রাজ্য জুড়ে শুরু হলো তৃতীয় পর্বের দুয়ারে সরকার।এই দুয়ারে সরকার পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে খুশি রাজ্যবাসী। ক্যাম্পে মধ্যে দেখতে পাওয়া গেলো মহিলাদের ভিড়।লক্ষীর ভান্ডারের জন্য পড়লো প্রচুর আবেদন।তাছাড়া ক্যাম্পে সরকারের প্রতি প্রকল্পের সুবিধার জন্য কাউন্টার করা হয়।ক্যাম্পে নিজে উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং ও রূপনারায়নপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান।এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সাথে কথা বলেন ও তাদের কিছু অসুবিধা হচ্ছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখেন।তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লকের প্রতিটি পরিবার দুয়ারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদন করেছেন এবং লাভ পাচ্ছেন।আজ থেকে তৃতীয় পর্বের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হলো ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠি ত হবে।

এলাকার বহু মানুষের অভিযোগ অনেকে ফার্ম ফিলাপ করেও লক্ষী ভান্ডার এর টাকা পায়নি যাদের অনেকে পুনরায় ফর্ম ফিলাপ করছে।তাছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনেকেরই যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকার ফলে লক্ষী ভান্ডার হচ্ছেনা বলে অভিযোগ ।যে দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে তাতে পঞ্চায়েত এলাকার বহু মহিলা লক্ষির ভান্ডার প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে।কারন এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের প্রয়োজন।কিন্তূ অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই ।বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসন কে জানানো হয়েছে ।
তবে ব্লক প্রশাসনের তরফে বলাহয়েছে যে এটা সম্পূর্ণ ভুল বোঝানো হচ্ছে। তিনি জানান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও যা যা ডকুমেন্ট তারা দিতে পারছে সেগুলিই যাচাই করে ফর্ম জমা নেওয়া হবে। এবং দুয়ারে সরকার এর ক্যাম্পেই ফর্ম পাওয়া যাবে।ফর্ম ফিলাফ থেকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে এখানে বঞ্চিত থাকার কোনও প্রশ্ন নেই।

Leave a Reply