জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার),
আজ মঙ্গলকোট বিধানসভার অন্তর্গত মঙ্গলকোট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন এবং বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলকোট গ্রামের হাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে। এই সম্মেলনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল লক্ষণীয়। সকাল থেকেই মঙ্গলকোট অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষেরা ঢাকঢোল বাজিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বনি দিতে দিতে সভায় এসে উপস্থিত হয়। আজকের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোট বিধানসভার বিধায়ক তথা মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকার,সদস্য বজলুর রহমান, কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব চৌধুরী, মুন্সি রেজাউল হক,মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব স্থানীয় প্রতিনিধিরা, মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত অঞ্চল সভাপতি, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনের সভাপতি সহ মঙ্গলকোট অঞ্চলের প্রত্যেকটা বুথের বুথ সভাপতি এবং মঙ্গলকোট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের শত শত কর্মী তথা হাজার হাজার কর্মী সমর্থকরা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আজকের এই কর্মী সম্মেলন বলে জানান বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী।প্রতিটা অঞ্চল সভাপতি কে এই সম্মেলন থেকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প কে সাধারন মানুষের মধ্যে প্রচার করার নির্দেশ দেন বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী।এছাড়াও মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা বজলুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, 34 বছরের বাম শাসনকে পরাভূত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা দিয়ে এসেছেন। 2021 সালে সাম্প্রদায়িক বিজেপি দল কে বাংলার মানুষ অস্বীকার করে তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ক্ষমতায় এনেছেন। তাই আগামী 2024 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর করার জন্য আহ্বান জানান। এছাড়াও মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জননেতা চন্দন সরকার মঙ্গলকোট অঞ্চলের সাধারণ মানুষ কে বামফ্রন্টের হার্মাদের অত্যাচারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে মজবুত করার কথা বলেন। সম্মেলন শেষে প্রায় 5 থেকে 6 হাজার মানুষের দুপুরের আহারের ব্যাবস্থা করা হয় মঙ্গলকোট অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।