মোল্লা জসিমউদ্দিন,
গত ১৯ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তে সিবিআই দায়িত্বভার পেয়েছে। এরমধ্যেই চারটি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। এই নিয়ে তৃতীয়বার দত্তপুকুরের কদম্বগাছি এলাকায় এলো সিবিআই। কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের উলা গ্রামের বাসিন্দা হাসানুর জামান খুন হয়েছিলেন। নিহত ছিলেন একজন চাষি । অভিযোগ, ভোট গণনার পরের দিন জমিতে কাজ করার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাসানুরের। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকরা। যেখানে তাঁর মৃতদেহ পড়ে ছিল, সেখানেও গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে থাকে সিবিআই । তাঁর পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। সিবিআই দলটি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আক্রান্তদের বাড়িতে যান। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অভিযুক্তদের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। বাড়ির তল্লাশিও নেওয়া হয়। কথা বলে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় আগেই একজন জয়েন্ট ডিরেক্টরের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল চারজন বিশেষ তদন্তকারী দল। প্রত্যেক দলে রয়েছেন ২১ জন অফিসার। নেতৃত্বে থাকছেন একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, ৪ জন এসপি। গত ১৯ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ভোট পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির তদন্ত করবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ৪৩টি খুন ও ২৮টি মহিলা নির্যাতনঘটিত অপরাধের মামলা রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। মোট চারটি দল গঠন করেছে সিবিআই। ১০৯ জন অফিসারের মধ্যে।উল্লেখ্য, শতাধিক অফিসারই ভিন রাজ্যের। এ রাজ্যের বাসিন্দা হলে পক্ষপাতিত্ব বা স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠতে পারে।সেজন্য সম্ভবত আলাদা রাজ্যের অফিসারদের বাছা হয়েছে এইসব তদন্ত করবার জন্য ।