ববিতা কে অঙ্কিতার অর্থ আলাদা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
প্রাথমিক পর্বে হোঁচট খেলেন ববিতা সরকার। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে অনামিকা রায়ের মামলায় ববিতা কে অঙ্কিতার অর্থ আলাদা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়। প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি গিয়েছিল তাঁর (ববিতা) করা মামলায়। শিলিগুড়ির ববিতা সরকার হয়ে উঠেছিলেন সংবাদ মাধ্যমে আলোচিত অধ্যায় । এবার সেই ববিতাই বড় অস্বস্তিতে পড়লেন অনামিকা রায়ের মামলাতে। এদিন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, -‘ অঙ্কিতার থেকে যে টাকা পেয়েছিলেন ববিতা তা আপাতত আলাদা করে জমা করতে হবে’। জমা দিতে হবে কোথায়? এ ব্যাপারে আদালত বলেছে, -‘ ববিতাকে একটি পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করতে হবে। তাতে ওই টাকা রাখতে হবে তাঁকে’। আগামী চার-পাঁচ দিনে এই কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।অনামিকা রায় শিলিগুড়ির বাসিন্দা । তিনি এখন একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ান। আদালতে তিনি আর্জি জানিয়ে বলেন, -‘ ববিতার থেকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর বেশি’।মামলাকারীর অভিযোগ, -‘ ববিতা সরকারের থেকে নম্বর ও যোগ্যতা বেশি থাকার সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি’। তাঁর (অনামিকা) দাবি, অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। সেই চাকরি বাতিলের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনামিকা রায়। গত মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ববিতার চাকরি খারিজের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন শিলিগুড়ির অনামিকা। সেই মামলা গৃহীত হয়। এদিন বিকেল থেকে প্রায় সন্ধে পর্যন্ত এই মামলার শুনানি হয়। তারপরেই ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সপ্তাহ খানেক সময়ের ব্যবধানে ববিতার চাকরির ‘বৈধতা’ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ,-‘ অ্যাকাডেমিক স্কোরে ববিতাকে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে এসএসসি । তাই বেশ কয়েকজন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে টপকে তিনি নিয়োগপত্র পেয়েছেন’। অনামিকার দাবি, -‘ তা না হলে তিনি ওই জায়গায় চাকরি পেতে পারতেন’। প্রসঙ্গত অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা চাকরি পেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। সেইসঙ্গে পরেশ-কন্যাকে বিচারপতি বলেছিলেন, -‘ এতদিন ধরে যে টাকা তিনি বেতন হিসেবে পেয়েছিলেন তার সবটা ফেরত দিতে হবে। কয়েক ধাপে সেই টাকা দেন অঙ্কিতা’। এবার সেই বিচারপতিই নির্দেশ দিলেন -‘ ববিতাকে টাকা আলাদা করে জমা রাখার’। পরবর্তী শুনানিতে কি হয় তার দিকে তাকিয়ে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা।একসময় প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘আইকন’ হয়ে উঠেছিলেন ববিতা…..