ফৌজদারিতে অভিযুক্ত শিক্ষক কে অবসরকালীন প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,
চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে পুরুলিয়ার এক মামলায় ফৌজদারিতে অভিযুক্ত শিক্ষক কে অবসরকালীন প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর প্রাপ্য আর্থিক বকেয়া পাচ্ছিলেন না।কারণ তিনি ফৌজদারি ধারায় অভিযুক্ত। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা সমস্যার সমাধান হলো কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছিল যে, -‘ ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ থাকায় তিনি অবসরকালীন সুবিধা পাবেন না’। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ১৯৮৫ সালে পুরুলিয়ার শীতলপুর জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সুভাষ মাহাত নামে ওই শিক্ষক। এরপর ১৯৯১ সালে ওই স্কুলেই প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ততদিনে ওই স্কুল জুনিয়র থেকে হাইস্কুলের মর্যাদা পেয়েছে। ২০০৫ সালে সুভাষ মাহাতোর বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় পুরুলিয়া নিম্ন আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। সেই মত তাঁর জেল হেফাজত হয়। কিন্তু নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোটের দ্বারস্থ হন শিক্ষক। সেখানে মামলার শুনানির পর মে মাসে নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এরফলে জামিনে মুক্ত হন সুভাষ। ২০১৭ সালে যখন তিনি প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী যে অবসরকালীন সুযোগ সুবিধার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন তা পান না তিনি। চলতি সপ্তাহে এই মামলাতেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে সুভাষের আইনজীবী সৌগত মিত্র জানান , -” বেআইনিভাবে এক প্রধান শিক্ষককে অবসরকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে”। রাজ্যের তরফে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করা হলেও অবশেষে লাভ হয়নি।আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৮ শতাংশ সুদ সহ অবসরকালীন যাবতীয় অর্থ সুভাষ মাহাতকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।