প্রাথমিকে সেই ‘রঞ্জন’ এর বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল সিবিআইয়ের,
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। জানা গেছে, এফআইআর কপিতে উল্লেখ রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের অজ্ঞাতপরিচয় কর্মীদের কথা। তবে এফআইআরে নাম রয়েছে বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের নাম। আরও একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে মোটা টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর কাছে । উঠে এসেছে চন্দন মন্ডল নামে এক ব্যক্তির নাম। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চাকরি বিক্রি হচ্ছে বলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। একদা তাঁর বিধানসভা এলাকায় চন্দনের বিরুদ্ধে চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। উপেন বিশ্বাসের দাবি , -‘ রঞ্জন(চন্দন মন্ডল) টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করে’। এই রঞ্জন কে? এই প্রশ্ন ঘিরে চাঞ্চল্য পড়ে যায় । উপেন বিশ্বাস একদা সিবিআই-এর প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ছিলেন । ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও। তাই তাঁর করা পোস্ট কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে হাইকোর্ট । এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি পর্বে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন , -‘ এই রঞ্জন কে? ‘ স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ আগে সিপিএম করতেন রঞ্জন, এরপর তৃণমূলে যোগ দেন চন্দন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তৃণমূলের সদস্য হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক। সম্ভবত তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই চন্দন। উপেন বিশ্বাস জানিয়েছেন -‘ অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে শুনেছি। আগে ৪-৫ লক্ষ টাকা দিতে হত, এখন ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়। যে ঘুষ দেয় সেও গোপনে দেয়, আবার যে ঘুষ নেয়, সেও গোপনে নেয়। কেউ সাক্ষী রাখে না’। এবার এই চন্দনের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কর্মী চন্দন মণ্ডলের নাম। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে অনেক কে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় বারবার উঠে এসেছে এই চন্দন মণ্ডলের নাম। ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। সেখানে বলা হয় -‘চাকরি বিক্রি হচ্ছে’। উপেন বিশ্বাস এর দাবি, -‘ এই চন্দনই টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করেছেন’। এর পর থেকেই সকলের মনে একটাই প্রশ্ন কে এই চন্দন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর উপেন বিশ্বাসের এই পোস্টটি করেন। এরফলে এই পোস্ট একেবারে উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত নির্দেশ পরবর্তী রঞ্জন অর্থাৎ চন্দন মন্ডল কে আর জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছেনা।