পরকীয়া মামলায় শালতোড়ার গেরুয়া বিধায়িকা পেলেন আইনী স্বস্তি
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির গর্ব ছিল চন্দনা বাউড়ির দারিদ্র্যতা কে সামনে রেখে লড়াই করবার জন্য।সেই চন্দনা বাউড়ি শালতোড়ার বিধায়িকা হয়ে এখন পরকীয়া চর্চায় কেন্দ্রবিন্দুতে। একদা নির্বাচনের সময় গাড়ি চালক কে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে দাবি,যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দনা।মামলা পাল্টা মামলার আবহে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন এই গেরুয়া বিধায়িকা।তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে উঠে এই মামলা।সেখানে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক সহ একাধিক ধারায় মামলাতে অভিযুক্ত বিধায়িকা এফআইআর টি খারিজ চেয়েছেন।আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দ নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কে, – ‘ আগামী ৮ সপ্তাহ চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ কোন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেনা’। অর্থাৎ আট সপ্তাহের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে ওই এফআইআর টির বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালতে বিবেচনাধীন তাঁর মামলার এফআইআর রদের আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দনা বাউড়ির।শুক্রবার এই আবেদনের শুনানির পর ৮ সপ্তাহের জন্য চন্দনার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।এদিন চন্দনার আইনজীবী সোমনাথ অধিকারীর বক্তব্য,- ”বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে চন্দনা বাউড়িকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা এফআইআরও দায়ের করেন ওঁরই গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ, ৪৯৪, ৪০৬, ৫০৬ ধারায় এফআইআর করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৯৪ ধারাটি চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে ছিল। আমরা এই এফআইআর রদের আবেদন করি। তাতে আদালত ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন,-” ৪৯৪ ধারায় অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ দু’বার চন্দনাকে তলব করেছে তবে এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত করার অধিকারই নেই।উল্লেখ্য , চলতি বছরের গত ১৯ অগস্ট বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণকে গোপনে বিয়ে করেন বলে জল্পনা ছড়ায়। যদিও সে দিনই স্বামী শ্রবণ বাউড়িকে সঙ্গে নিয়ে নেটমাধ্যমে যাবতীয় জল্পনা নস্যাত্ করেন চন্দনা স্বয়ং। কুত্সা রটানোর জন্যই বিরোধীরা অপপ্রচার করছে বলেও দাবি করেছেন এই বিধায়িকা । পরে জানা যায়, চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষ্ণের স্ত্রী রুম্পা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দনা এবং কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। ৫০৬ ধারায় দু’জনের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়। পাশাপাশি, ওই এফআইআরে আরও কয়েকটি ধারা যোগ করা হয় বলেও জানিয়েছিল জেলা পুলিশ।এরপর এফআইআর খারিজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন বিধায়িকা। আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে উঠে এই মামলা।সেখানে বিচারপতি এফআইআর টির উপর ৮ সপ্তাহের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।সাময়িক স্বস্তি পেলেন শালতোড়ার গেরুয়া বিধায়িকা চন্দনা বাউড়ি।