ধর্ষণের আসামি পালালো আদালত  থেকে, কাটোয়ায় চাঞ্চল্য 

নিজস্ব সংবাদদাতা,মঙ্গলকোট, ৬ জানুয়ারি ; শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালতে ধর্ষণে আসামি পালিয়ে গেল বিচারকের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার নির্দেশ জেনে।সংশ্লিষ্ট আদালতে নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়ে গেছে।এদিন বিচারকের রায় শোনার পর আদালত থেকে পালিয়ে গেল ধর্ষণে আসামি।  অভিযুক্তের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। তার বাবাকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করছে কাটোয়া থানার পুলিশ।ধর্ষণে অভিযুক্ত পলাতক আসামি জিতেন মাঝি, কেতুগ্রামের ছোট পুরুল গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা।আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত২০১০ সালের এপ্রিল মাসে সে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের তরফে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় জিতেন। মাসদেড়েক জেলও খাটতে হয় তাকে। যদিও পরে জামিনে মুক্তি পায় সে।তবে ধর্ষণের মামলার শুনানি চলছিল। গত বছরের নভেম্বরে এই মামলার শেষ শুনানি হয়। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধরের এজলাসে চূড়ান্ত শুনানি চলছিল। বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বিচারক জানান, অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আর তা না হলে কমপক্ষে ১০ বছর জেলবন্দি থাকতে হবে। কথোপকথন চলার মাঝে আচমকায় চলে যায় এই আসামি।  তার খোঁজে গোটা এলাকাজুড়ে চলছে জোর তল্লাশি। জিতেনের বাবা বিজয় মাঝিকে জেরা করছে পুলিশ। আসামির আইনজীবী নির্মল মণ্ডল বলেন, ‘বিচারক বলেছিলেন ওর সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন। তা না হলে কমপক্ষে ১০ বছর জেলবন্দি থাকতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে আদালতের লকআপে রাখা হয়। সেখান থেকে কীভাবে পালাল জানি না।’ জেলা পুলিশের তরফে বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। 

Leave a Reply