Spread the love

ট্রাফিকিং এর শিকার এক নাবালিকাকে উদ্ধার করলো জেলা আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষ

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- বাল্যবিবাহ রোধ,ট্রাফিকিং এর হাত থেকে বাঁচা ইত্যাদি বিষয়ে বীরভূম জেলা আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষ নিরলসভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। সেই অনুষ্ঠানের প্রভাব কিছুটা হলেও কিশোরীদের মধ্যে যে পড়েছে তা সম্প্রতি জেলার এক নাবালিকা উদ্ধারের চিত্রে ফুটে উঠেছে। বিবরণে
জানা যায় যে,বীরভূমের আহম্মদপুর এলাকার একটি গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, নাচে খুব ভালো পারদর্শী।তার নাচের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ায় অনেকেই জানতে পারেন। সেই সূত্র ধরে
ইসট্রাগ্রামের মাধ্যমে দীপা দি নামে এক মহিলার সাথে পরিচয় ঘটে। যথারীতি তার নাচের প্রশংসা করে এবং দিন কয়েক আগে তাকে প্রলোভন দিয়ে বোলপুরে ডাকে এবং সেখান থেকে কলকাতা নিয়ে চলে যায়। নাবালিকার বাড়িতে ঘুণাক্ষরেও মেয়ের কোলকাতা যাবার কথা জানতে পারেনি।নাবালিকার কথা অনুযায়ী কলকাতার কোন একটা হোটেলে দুই রাত রাখা হয়েছিল। হোটেলের মধ্যে রেখে খাবার খেয়ে নেওয়ার কথা বলে দিপা দি বেরিয়ে যায়। কিন্তু খাবার খেয়ে নেওয়ার পরেই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তো। তিন দিন পর সকালে নাবালিকা চুপচাপ হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়ে।তার কাছে থাকা জেলা আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষের কথা মনে পড়ে এবং তাদের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে নাবালিকা নিজেই। সিউড়ির পার্শ্ব আইনি সহায়ক মহম্মদ রফিক ফোনে সমস্ত কথা শোনা মাত্র কালবিলম্ব না করে কোলকাতা পুলিশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
এদিকে জেলা আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষের সেক্রেটারি সুপর্না রায় কে ও নাবালিকা ট্রাফিকিং এর শিকার হওয়ার ঘটনা শোনানো হয় ফোন মারফত। বীরভূম জেলা আইনি পরিষেবা কতৃপক্ষের সচিব সুপর্না রায় ও কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় থানার মাধ্যমে নাবালিকাকে তার বাড়ি তে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানান পার্শ্ব আইনি সহায়ক মহম্মদ রফিক।ইতিমধ্যেই নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে হাসপাতালে।
সে এখনও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *