মোল্লা জসিমউদ্দিন,
,
শনিবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে বিচারপতিদের সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গেছে দশ মিনিটের বেশি সময় ধরে কথা হয়েছে উভয়ের মধ্যে । এই স্বল্প সময়ের বৈঠকে উঠে এসেছে আদালতে আঞ্চলিক ভাষার গুরত্ব নিয়ে আলোচনা । এদিন প্রধানমন্ত্রী আদালত গুলিতে আঞ্চলিক ভাষাগুলিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন, তাতে খুশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শনিবার দেশের রাজধানী দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সুপ্রিম কোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত হাইকোর্টের বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন ছিল। এই সম্মেলনে যোগ দিতে গত শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার সন্ধেতে মমতার সাথে বৈঠক হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের । এরপর শনিবার মমতা পৌঁছে যান দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে। এদিন বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, – ‘কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতির শুন্যপদ থাকলেও ৩৯ জন বিচারপতি রয়েছেন । আমরা ( রাজ্য সরকার) ছ’মাস আগে ১১ জনের তালিকা পাঠিয়েছিলাম কেন্দ্রের কাছে। তাতে ১ জন কে পেয়েছি। প্রয়োজনীয় বিচারপতি না থাকায় মামলার পাহাড় বাড়ছে ।’এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,- ‘ইতিমধ্যে আমাদের হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ আছে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং জলপাইগুড়ি হাইকোর্ট এর সার্কিট বেঞ্চ। কলকাতা সংলগ্ন নিউটাউনে ইতিমধ্যেই ১০ একর জমি হাইকোর্টের নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য দিতে পারবে রাজ্য সরকার। এর থেকে বেশি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। পুরনো বিল্ডিংটি বন্ধ করা হবে না, সেটিও কাজ করবে। কারণ, এটি হেরিটেজ বিল্ডিং। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ কাজ করা শুরু করেছে। এরফলে উত্তরবঙ্গ এর মানুষজন যথেষ্ট আইনী সুবিধা পাবেন।’ জানা গেছে কলকাতা হাইকোর্টের ২ লক্ষ ২২ হাজার মত বিচারধীন মামলা রয়েছে। ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা থাকলেও নেই ৩৩ জন বিচারপতি। মাত্র ৩৯ জন বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টে দু লক্ষের বেশি মামলার বিচার চালাচ্ছেন। অভিযোগ, তাতে বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি সময় লাগছে বিচার পেতে।সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল জানান ” আমরা চাই দ্রুত বিচারপতি নিয়োগ হোক, এতে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের সুবিধা হবে “।