এ কেমন জীবন
মহুয়া চক্রবর্তী।
সৃষ্টির রহস্য জাল ভেদ করে মানব জীবন আসে।
তিন কোটি জীবনের সাথে যুদ্ধ করে জেগে থাকে শুধু একটি প্রাণ মাতৃগর্ভে।
সৃষ্টিকর্তার সবাইকেই পাঠায় এইভাবে মায়ের মাধ্যমে। এরপরেই কেউ থাকে রাজার হালে আর কেউ থাকে অনাহারে। বিধাতার এযে বড় নিঠুর খেলা, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ওই মানুষগুলো সব সময় ছুটে চলেছে দু’মুঠো অন্নের জন্য।
দিনের পর দিন রাতের পর রাত অনাহারে কাটে, মাথার ওপর ছাদ হীন, বস্ত্রহীন ,প্রতিদিন তাদের কাছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
ছন্নছাড়া জীবন তাদের পথই ঠিকানা। স্বপ্ন কিভাবে দেখতে হবে আদেও নেই তাদের জানা।
সমাজ সভ্যতা শিক্ষাদীক্ষা পায় না কিছুই তারা,
নির্মম পরিহাসে জীবন হয় যে দিশেহারা।
আমার মনটা সদাই দুঃখে কাঁদে তাদের তরে
উৎপীড়নের শিকার হয়ে দগ্ধ পুড়ে মরে।
দেখেছো কি ঐ শিশুগুলোর কান্না কান পেতে কখনো শুনেছো কি তাদের আর্তনাদ। দু’মুঠো খিদের জ্বালা কখনো অনুভব করেছো কি? মাতৃহারা শিশুর কান্না কেউ বোঝেনা কেউ শোনে না।
বড় বড় অট্টালিকা বড় বড় গাড়িদেড় ভারে চাপা পড়ে যায় সেই অসহায় মানুষগুলোর আর্তনাদ।
স্বপ্ন কত আশা থাকে তাদেরও জীবনে
আজ স্বপ্নগুলো গুমড়ে মরে দুর্ভাগ্যের আড়ালে।
কপালে জোটে অবহেলা অনাদর জীবন জুড়ে শুধুই হাহাকার।
এসো আমরা সবাই মিলে আজ করি অঙ্গীকার
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে পাশে থেকে ভালো করবো সবার।।