উত্তরবঙ্গ হেল্থ সিটি ফোরাম এর পক্ষ থেকে আজ হেল্থ সিটি গড়ে তোলা নিয়ে বিশেষ বৈঠক ফারাক্কায়।

আমিরুল ইসলাম,

আজ প্রবাদ প্রতিম চিকিৎসক ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ও প্রয়াণ দিবস। যা চিকিৎসক দিবস হিসাবে পালিত হয়।
একটি চিকিৎসক দিবসের দিনেই ২০২৪ সালের মধ্যে উত্তরবঙ্গে মেডিকেল কলেজ ও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হেলথ সিটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আজ, শনিবার, মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় ফারাক্কা গভ আইটিআই – এ এক আলোচনা সভার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে হেলথ সিটি করবার জন্য নীতি আয়োগ এর পক্ষ থেকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুপারিশ এই এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ও প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষকে সুলভে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেবার জন্য প্রায় ৩৫০০ বিঘা জমির উপর ১১০০কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরবঙ্গে এই মেডিকেল কলেজ ও হেলথ সিটি গড়ে উঠতে চলেছে।
নীতি আয়োগের এই সুপারিশ হেলথ সিটি গঠনে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে চলেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটস গড়ে তোলে। সেই সময়ই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার – এই ভাবনা থেকেই নব জাগরণ মঞ্চ বলে এক সংগঠন গড়ে ওঠে। এই মঞ্চের কাজ শুরু হতেই সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ যোগ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাদের ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে উত্তরবঙ্গ হেল্থ সিটি ফোরাম গঠিত হয়।
উত্তরবঙ্গ হেল্থ সিটি ফোরাম এর পক্ষ থেকেই আজ শনিবার এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই সব রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ।
উত্তরবঙ্গ হেল্থ সিটি ফোরামের চেয়ারম্যান, মলয় পীট জানান, “আমরা হেল্থ সিটি ও মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলবার পরিকল্পনা নিয়েছি। নীতি আয়োগ এর সুপারিশ আমাদের কাজে অনেকটা সহায়তা করবে বলেই আমাদের স্থির বিশ্বাস। আমরা বাগডোগরা বিমান বন্দরের কাছাকাছি কোন জায়গায় এটা গড়ে তোলা হবে।”
তিনি জানান সরকারের সহযোগিতায় ২০২৪ সালের মধ্যে মেডিকেল কলেজ ও আগামী ৫ বছরের মধ্যে হেলথ সিটি গড়ে তোলা হবে।

Leave a Reply