অন্যরকম সেতু
ইন্দ্রানী গুপ্ত
আমার পাশে বসে একটা কবিতা শোনাবে ?
তোমার সাথে আমার এক অন্যরকম সেতু হবে মনে মনে
তুমি আমায় কবিতা শোনাবে আজ রাতে…!
আর কিছুক্ষণের ভেতরই এলোমেলো হয়ে যেতে যাচ্ছে সব…
তুমি আমার পাশে বসে একটা কবিতা শোনাবে কি?
একটা ব্যক্তিগত কষ্টের সর্বজনিন হয়ে ওঠার কবিতা.
আমার ভেতর কবিতা শোনার এক আকুল তৃষ্ণা;
সপর্শহীন ভালোবাসার মতো তোমার সাথে আমি কবিতার সম্পর্ক পাতাবো।
আর কেউ জানুক না জানুক তুমি তো একদিন জানবে যে তুমিই আমার কবি!!!
তুমি আমাকে একটি কবিতা শোনাবে আজ রাতে?
দেখো আমি চলে যাচ্ছি আজ হতে দশ বছর আগে
আমার কোন সময়ের এর প্রয়োজন নেই
এই দেখো আমি ওখানে পৌঁছে গেছি
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ঘটনা প্রবাহ কিংবা দিনাতিপাত
এক পুতুল পুতুল খেলা
কিছু গনদেবতা আর দেবী
একটা মিথ্যের মঞ্চ
আমার ভীষণ অস্থির বোধ হচ্ছে
আমি ঐ সময় হতে এখানে ফিরে আসতে চাই
তুমি আজ রাতে একটা কবিতা শোনাবে আমায়?
আর কিছুক্ষণের ভেতরই এলোমেলো হয়ে যেতে যাচ্ছে সব…
তুমি আমার পাশে বসে একটা কবিতা শোনাবে কি?
আমার ভেতর প্রচণ্ড এক অস্থিরতা,
আমার রাতজাগা তারাদের মতন অসুখ করেছে।
তুমি আমাকে একটা কবিতা শোনাবে ?
আমি চুপ করে বসে কবিতা শুনব তোমার কণ্ঠে।
তুমি জীবনানন্দ হবে কি!
শোনাবে একটি কবিতা?
যে কোন কবিতা নয়,
একটা ব্যক্তিগত কষ্টের সর্বজনিন কবিতা ।
শীতের রাতের একটু উষ্ণতা পেতে কার না ইচ্ছে করে,ইচ্ছে করে হোক না কেউ কবি যা উষ্ণতার আলিঙ্গনে ভরিয়ে দেবে কবিতার মালা,সখ্য দিয়ে মুছে দেবে যাবতীয় পরাভব, গ্লানি।পরিয়ে দেবে দিনের অমল রোদ্দুরের পোশাক। অর্ধেক আকাশ না রাতের সবটুকু আকাশটা পরিপূর্ণ ভাবে দেবে, সেই পূর্ণতা প্রেমে নেই, বিবাহে নেই। আছে বন্ধুতায়, মানে সখ্যে। যে সখ্যের সিঁড়ি ধরে নেমে যাওয়া যায় জীবনের রহস্যময় আলো আঁধারিতে। যে সখ্যের সিঁড়ি ধরে উঠে যাওয়া যায় সব তুচ্ছতা, ক্ষুদ্রতা, সংকীর্ণতায়,সেই বন্ধুতা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মধ্যে ওম হয়ে ভুবনডাঙ্গার মাঠে।