Spread the love

সাধন মন্ডল,

জঙ্গলমহলের খাতড়া শহরের সন্নিকটে কাঁকড়া দাঁড়া ও গোপালপুর গ্রামের মধ্যেখানে কেলাতিতে বিশ্ব প্রেমিক সংঘ শ্রীরামকৃষ্ণ শিবানন্দ আশ্রমে স্বামী অনঘানন্দ জি মহারাজের 122 তম জন্মতিথি উদযাপন অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো। সকাল থেকে পুজো পাঠ হোম যজ্ঞ ও দুপুরে নরনারায়ণ সেবার মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়। সন্ধ্যায় ভজন কীর্তন ও সন্ধ্যারতির অনুষ্ঠান হয় বলে জানালেন আশ্রমের প্রবীণ সন্ন্যাসী রাঘবানন্দ জি মহারাজ। তিনি বলেন কেলাতিতে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী অনঘানন্দ জি মহারাজ। তিনি আরো বলেন স্বামী অনঘানন্দজী বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পালোয়ান মহারাজ হিসেবে ভক্তবৃন্দ দের কাছে পরিচিত ছিলেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। নিয়ম নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করতেন। তিনি কিভাবে চাষের মাধ্যমে উন্নতি ঘটানো যায় তা হাতে-কলমে বেলুড় মঠের মাটিতে চাষ করে দেখিয়েছিলেন নিজ হাতে এক লক্ষ কপি লাগিয়ে চাষ করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বেলুড়ের সন্ন্যাসী থেকে দর্শনার্থীদের। পরবর্তী দিনে তিনি বেলুড় মঠ ছেড়ে এই রাঢ় বাংলার কাঁকড়াদাড়া গ্রামের কাছে কেলাতি তে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
এলাকার অসহায় দুঃস্থ মানুষদের নিয়ে তিনি এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে পতিত জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন। সেই থেকে এখানে রুখা সুখা জমিতে নানা রকম ফসল ফলানোর উদ্যোগ এখনো রয়ে গেছে। আবার গো পূজার জন্য বেশকিছু গাভী পালন করা হয়। চাষের জন্য রয়েছে বলদ। এখানে গাভী থেকে উৎপাদিত দুধ মন্দিরের পুজোয় ব্যবহৃত হয়। তিনি মানুষের মধ্যে তিনটি বার্তা দিয়েছিলেন তা হলো গো, ভূমি, ঈশ্বর এই তিনটি বিষয় মেনে চলতে পারলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে সেবা করার ওপর জোর দেন তিনি। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় আজ ও এই আশ্রম তার সুনাম বজায় রেখে চলেছে। আশ্র
মে সারা বছর ধরে নানান সামাজিক কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে। বর্তমানে করোনার কারনে অনুষ্ঠান কিছুটা শিথিল করা হয়েছে যতটুকু হচ্ছে তা কভিড বিধি মেনেই হচ্ছে। আশ্রমের পূজক বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শিবরাম পন্ডা বলেন এই আশ্রমে এসে আমরা ধন্য হই এখানে এলে মন জুড়িয়ে যায় এত সুন্দর শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ আর কোথাও নেই। মন ভাল করার জায়গা এই বিশ্বপ্রেমিক সংঘ শিবানন্দ আশ্রম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *