Spread the love

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,

       দুর্গাপুজোর শেষ দিন অর্থাৎ দশমীর দিন সমবয়সীদের মধ্যে কোলাকুলি, গুরুজনদের প্রণাম করা, পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানোর একটা রীতি দীর্ঘদিন ধরেই বাঙালি সমাজের মধ্যে চলে আসছে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা তো আছেনই এমনকি অবাঙালিরাও তাদের পরিচিত বাঙালি বন্ধু-বান্ধবদেরও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। প্রতিটি ডাকঘরের  লাল বাক্সটা 'বিজয়ার শুভেচ্ছা' চিঠিতে ভরে উঠত। স্মার্ট ফোন আসার পর সেসব এখন অতীত।তারই মাঝে ব্যতিক্রম হিসাবে এবারই প্রথম 'বিজয়ার শুভেচ্ছা' চিঠি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা পাঠানোর  তালিকায় নাম তুলে ফেলল ভারতীয় ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। 
         ডাক বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রতিটি ডাকঘরের কার্যকর এলাকায় একজন করে বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো হবে। চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে প্রতিটি ডাকঘরে। তারপর সংশ্লিষ্ট ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ও কর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম লিখে তার কাছে চিঠিটি পৌঁছে দেবে। ডাক বিভাগের এই ভূমিকায় বিভিন্ন এলাকার শুধু প্রাপকরা নয়, অন্যান্য মানুষরাও খুব খুশি। 
       ডাক বিভাগের দীর্ঘদিনের এবং বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কাশীনাথ পাল বললেন - ডাক বিভাগের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। বিভিন্ন কারণে যোগাযোগের প্রাচীনতম মাধ্যম ডাক বিভাগ তার গৌরব এবং ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছিল। এই প্রচেষ্টা হয়তো সাধারণ মানুষকে আবার ডাকঘর মুখী করবে। তবে সুফল পেতে গেলে শুধু বাঙালি নয় দেশের মধ্যে প্রতিটি জাতির শ্রেষ্ঠ উৎসবে এইভাবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *