Spread the love

রাজ্যসভা ছেড়ে ভবানীপুর উপনির্বাচন মূল টার্গেট বিজেপির

ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়,

, রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনে লড়াইয়ের দৌড়ে নেই বঙ্গ বিজেপি। তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আসন কে মূল টার্গেট রেখেছে বিজেপি। যেভাবে ২১৩ টি আসনে জিতলেও নন্দীগ্রামে হারতে হয়েছে তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। ঠিক সেভাবেই মমতা কে তাঁর হোম আসন অর্থাৎ ভবানীপুরে হারাতে চান শুভেন্দু অধিকারী। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে লড়াই করছেন দিদি। সোমবার টুইট করে শুভেন্দু এর পোস্ট , -‘অনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে আবার ভবানীপুরে হারানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য’। সেইসঙ্গে শুভেন্দু এও লিখেছেন, ‘বাংলা থেকে রাজ্যসভার একটি আসনে যে উপনির্বাচন হচ্ছে সেখানে প্রার্থী দিচ্ছে না বিজেপি। সেখানে কী হতে পারে ফলাফল জানা। দীনেশ ত্রিবেদীর আসনে রাজ্যসভার ভোট রয়েছে’। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ মোহন দেবের মেয়ে তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবকে। তবে বিরোধী দলনেতা জানিয়ে দিলেন,-‘ বিজেপি ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। ফলে, এটাও স্পষ্ট হয়ে গেল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর স্ক্রুটিনি হয়ে গেলেই জয়ের সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন সুস্মিতা। তবে এও প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কেন প্রার্থী দিল না? অনেকের মতে, যে ভাবে বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপি বিধায়করা তৃণমূলে ফেরা শুরু করেছেন তাতে গেরুয়া শিবিরের হয়তো আশঙ্কা রয়েছে, এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমে যে ৭১ জন বিধায়ক বিজেপিতে রয়েছেন তাঁরাও প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে সুস্মিতাকে ভোট দিয়ে দিতে পারেন। তাতে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে বাংলা বিজেপির দূর্বল  অবস্থাটা। তাই ভবানীপুরকেই মূল ফোকাস হিসেবে উল্লেখ করে শুভেন্দু হয়তো বিজেপি কর্মীদেরও উজ্জিবীত করতে চাইলেন। মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রাথী করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বহু চর্চিত আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কে। প্রিয়াঙ্কা যে ভাবে প্রচার করছেন তা দেখে অনেকেই বলছেন, হিন্দু ভোটকে পুঁজি করেই ভবানীপুরে অঙ্ক কষছে বিজেপি। উল্টোদিকে মমতা তথা তৃণমূল তুলে ধরতে চাইছে ‘সবকা সাথ’ বার্তা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভবানীপুরে মমতার জয় নিয়ে খুব একটা সংশয় থাকার কথা নয়। তবে চ্যালেঞ্জ একটাই, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যে মার্জিনে একুশে জিতেছিলেন তাকে দিদি ছাপিয়ে যেতে পারেন কি না। তাই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *